মেদিনীপুর: স্কুলে গিয়েছিল ছেলে। আচমকাই খবর এল জলে ডুবে মারা গিয়েছে সে। মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার রানিগঞ্জ এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলের এ হেন ঘটনায় তাজ্জব সকলে। পরিবারের লোকজনের দাবি, খুন করা হয়েছে নবম শ্রেণির ছাত্র শুভজিৎ দত্তকে। আর এই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে তারা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
চন্দ্রকোনার রানিগঞ্জের বাসিন্দা শান্তিনাথ দত্তের ছেলে শুভজিৎ দত্ত। নবম শ্রেণির ছাত্র সে। রামজীবনপুর পুরসভার বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করত। সোমবার স্কুলে যায় সে। এদিকে দুপুর ১টা নাগাদ সে স্কুল সংলগ্ন একটি পুকুরে ডুবে যায় বলে অভিযোগ।
শুভজিতের পরিবারের দাবি, সে গ্রামের ছেলে। সাঁতার জানে। তারপরও কীভাবে ডুবে যেতে পারে? পরিবারের আরও দাবি, শুভজিতের মৃত্যু হয়েছে সকালে। কিন্তু দুপুরে খবর দেওয়া হয়। শুভজিতের কাকিমা পম্পা দত্ত বলেন, “ছেলেটা পড়াশোনায় ভাল। মাস গেলে স্কুল কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা নেয়। অথচ এই নজরদারি? আমরা স্কুল জ্বালিয়ে দেব। দেখি কে আটকায়।”
যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে গৌতম দাস বলেন, “আমরা একটু বেরিয়েছিলাম। ফোন এল একটা ছেলে জলে পড়ে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি ঘুরিয়ে আসি। ততক্ষণে বিভিন্ন জায়গায় ফোনাফুনিও করতে থাকি। এতজনের মাঝে কেউ যদি গেটের বাইরে বেরিয়ে যায় সেটা কী করে বুঝব?” প্রশ্ন উঠছে, এত বড় স্কুলে কোনও সিসিটিভি নেই কেন?
সে জবাব অবশ্য গৌতম দাস দিতে পারেননি। তবে স্কুলের গাফিলতির অভিযোগও উড়িয়েছেন বিরক্তির সঙ্গেই। বলেন, “তদন্ত হোক সবটার। আর স্কুল কর্তৃপক্ষ কীভাবে দায় নেবে? লোক রাখা আছে নজরদারির। পড়ুয়ারাও পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে।”
এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে স্কুল মালিককে গ্রেফতারের দাবি তুলে রামজীবনপুর পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করেন নিহতের পরিবার পরিজন। রামজীবনপুর পুলিশ ফাঁড়ি লাগোয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বিশাল পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে নামানো হয় র্যাফ।