পূর্ব মেদিনীপুর: ২০ মিনিটের বক্তব্যে যদি শুভেন্দু অধিকারীকে গালাগাল না করেন, তাহলে সেই তৃণমূল নেতার দলের প্রতি ‘আনুগত্য’ প্রশ্নের মুখে বলেই মন্তব্য কুণাল ঘোষের। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে তমলুকের নিমতৌড়িতে বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় উপস্থিত হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “২০ মিনিট বক্তৃতা হয়ে গেল এলাকায়, অথচ শুভেন্দুর নাম পর্যন্ত উচ্চারিত হল না। এমন বক্তা রাখবেন না। এর অর্থ ওনারা পাঁচিলে বসে আছেন। দাঁড়িয়ে যদি শুভেন্দুকে চোর, চিটিংবাজ, জালিয়াত না বলতে পারেন, পূর্ব মেদিনীপুরে আজকের দিনে তাঁর সৈনিক হওয়ার কোনও অধিকার নেই।”
গত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দায়িত্ব বাড়ে কুণাল ঘোষের। এরপর থেকে প্রায় প্রায়ই জেলায় যান তিনি। লোকসভা ভোটের আগে আবারও জেলায় বৈঠক করছেন তিনি।
বিধানসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাড়ায় পাড়ায় চাটাই বৈঠক করে সুফল পেয়েছেন বলে জানান কুণাল। দলীয় নেতা কর্মীদের কুণালের বার্তা, “আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগেও চাটাই বৈঠকের মধ্যে দিয়ে জেলার দু’টি লোকসভা আসন গদ্দারদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে শিক্ষা দিতে হবে।”
বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভার আসনের মধ্যে তৃণমূলের টার্গেটে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দু’টি আসন তমলুক ও কাঁথি। কোনওভাবেই তা হাতছাড়া করতে চায় না তৃণমূল। কার্যত তারই প্রস্তুতি শুরু করে দিল দল।
এদিনের সভায় কুণাল ঘোষের পাশাপাশি ছিলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী, বিধায়ক ফিরোজা বিবি, সৌমেন মহাপাত্র, তিলককুমার চক্রবর্তী, সুকুমার দে, তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান চিত্ত মাইতি, সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়রা।
যদিও তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ সভাপতি দেবব্রত পট্টনায়ক বলেন, “উনি জেলে থেকেছেন। এখন উনি বলছেন শুভেন্দু অধিকারীকে গালাগাল করলে পদ পাবে। আসলে তৃণমূলের পরিচয়ই তো বিরোধীদের খারাপ কথা বলে টিকে থাকা।”