AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Samudra Sathi Scheme: বাজেটে ঘোষণা ‘সমুদ্রসাথী’র, তবু সাথী হল না মৎস্যজীবীদের

Samudra Sathi: প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা থাকে। এই সময়কে বলা হয় 'ব্যান পিরিয়ড'। এ সময় মৎস্যজীবীদের আয়ের কোনও ক্ষেত্র থাকে না। চলতি বছর বাজেটে এই সময় মৎস্যজীবীদের সাহায্য করতে আনা হয় সমুদ্রসাথী প্রকল্প।

Samudra Sathi Scheme: বাজেটে ঘোষণা 'সমুদ্রসাথী'র, তবু সাথী হল না মৎস্যজীবীদের
প্রতীকী চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Jul 12, 2024 | 3:03 PM
Share

পূর্ব মেদিনীপুর: চলতি বছর রাজ্য বাজেটে সমুদ্রসাথী প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়। এই প্রকল্প অনুযায়ী, যে দু’মাস মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারবেন না, সেই সময় প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে পাবেন। ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয় এই প্রকল্পে। কিন্তু অভিযোগ উঠছে, ঘটা করে ঘোষণাই সার। ‘ব্যান পিরিয়ড’-এ মৎস্যজীবীদের পাশে নেই ‘সমুদ্রসাথী’। অভিযোগ, বারবার বলা হলেও কোনও সদুত্তর তাঁরা পাননি।

প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা থাকে। এই সময়কে বলা হয় ‘ব্যান পিরিয়ড’। এ সময় মৎস্যজীবীদের আয়ের কোনও ক্ষেত্র থাকে না। চলতি বছর বাজেটে এই সময় মৎস্যজীবীদের সাহায্য করতে আনা হয় সমুদ্রসাথী প্রকল্প।

মৎস্যজীবীদের যাতে পেটে টান না পড়ে, সে কারণেই এই প্রকল্প। এর মাধ্যমে এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই দুই মাস প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে পাবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। এর ফলে প্রায় ২ লক্ষ মৎস্যজীবী উপকৃত হবে বলেও জানা যায়। কিন্তু বাস্তবে সেই চিত্রটা দেখা যাচ্ছে না বলেই অভিযোগ পূর্ব মেদিনীপুরের মৎস্যজীবীদের।

দাদনপাত্রবাড়ের শ্রীকান্ত দাস, কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের সুষেণ মান্না, মহিষাদলের অমল ভুঁইয়াদের আক্ষেপ, আশা করেছিলেন এবার যে দু’মাস মাছ ধরতে পারবেন না, সরকার ১০ হাজার টাকা দেবে। কিন্তু তা পাননি বলেই দাবি তাঁদের। তাঁরা বলেন, দফতরে গিয়েও সদুত্তর পাননি।

জেলা মৎস্য দফতর সূত্রে খবর, এ বছর ২০ হাজার মৎস্যজীবীর সমুদ্রসাথীর পরিষেবা পাওয়ার কথা। কিন্তু নামের ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি রয়েছে। সেই আবেদনপত্র খতিয়ে দেখা হবে ১০ দিনের মধ্যে। রিপোর্ট সন্তোষজনক হলে সহ-মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) অনলাইনে সুপারিশ করবেন সংশ্লিষ্ট মহকুমা শাসককে। মহকুমাশাসক অনুমোদন দিলে কাঁথি এবং ডায়মন্ড হারবারের সহ-মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) অনুমোদন দেবেন এবং আদেশনামা জারি করবেন। অনুমোদিত নামের তালিকা দফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এরপর মৎস্য দফতর থেকে বরাদ্দ পাঠানো হবে সরকারি কোষাগারে। তারপর প্রাপকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়বে বলেই খবর।

সহ-মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) সুমন সাহা বলেন, “একই জায়গায় আটকে রয়েছে সমুদ্রসাথী। এখনও সরকারি তহবিল এসে পৌঁছয়নি। এলেই আমরা তা মৎস্যজীবীদের জানিয়ে দেব।”

পূর্ব মেদিনীপুর মৎস্যজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস শ্যামল জানান, নিয়মিত দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তাঁরা। মৎস্যজীবীরাও জানতে চাইছেন কবে সরকারি টাকা পাবেন। যদিও দফতর থেকে সদুত্তর আসেনি।