পূর্ব মেদিনীপুর: আবাসের টাকা নিতে ফন্দি এঁটেছিলেন বহু! ছেলেদের ছেড়ে আলাদা থাকার গল্প বানিয়েও রেহাই পেলেন না কোলাঘাটের বাসিন্দা। চেকিংয়ে গিয়ে নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিলেন জেলাশাসক। উল্টে প্রধানের বিরুদ্ধে ৫০ হাজার দাবির অভিযোগ উঠল।
পাকা বাড়ি থাকার পরও আবাস যোজনার টাকা পেতে ফন্দি শেষ নেই। কেউ গোয়ালঘর, কেউ আবার রান্নাঘরে চৌকিখাট পেতে আবাসের টাকার জন্য সংসার পাতছেন। এই ধরণের অভিযোগ আসতেই আসরে জেলা শাসক স্বয়ং নিজেই করছেন সুপার চেকিং। জেলাশাসক, সকল অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমা শাসক, জেলা ও মহকুমার কর্মরত এগজিকিটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং বিডিওরা সুপার চেকিং করছেন।
তাতেই রোজ আবাসের টাকা হাতানোর নিত্যনতুন কৌশল সামনে উঠে আসছে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক কোলাঘাটের বিডিওকে নিয়ে ওই ব্লকের পুলশিটা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমারহাট গ্রামে সুপার চেকিংয়ে গিয়েছিলেন। দেউলিয়া বাজার থেকে খন্যাডিহি যাওয়ার পিচরাস্তার ধারে কুমারহাট গ্রামে জলধর মান্নার বাড়ি। একতলার মস্ত পাকা বাড়ি। সামনে একটি ছোট মাটির ঘর। সেটি বন্ধ থাকে।
জলধরবাবুর নাম আবাস প্লাস তালিকায় রয়েছে। পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও জলধরবাবু আবাস যোজনায় টাকা পেতে ইনভেস্ট একটি ছোট মাটির বাড়ি। যাতে নিজেকে কুঁড়েঘরের মালিক বলে জাহির করতে পারেন।