পূর্ব মেদিনীপুর: পরীক্ষা হবে বলেই জানতেন পড়ুয়ারা। চলতি মাসের ২৭, ২৮ ও ২৯ তারিখে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার ১৭ দিন আগেই কার্যত আকাশ ভেঙে পড়েছে পড়ুয়াদের মাথায়। সাধারণত শিক্ষকের চাকরির জন্যই বিএড কোর্স করতে হয়। তাই বিএড কলেজ বাতিল হওয়ার খবর শুনেই হাত পা কাঁপছে ছাত্রছাত্রীদের। টাকা খরচ করে যে কোর্স করতে হল, যার ওপর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে পড়ুয়াদের। সেই কোর্স আদৌ শেষ করা সম্ভব কি না, সেই প্রশ্নই করছেন পড়ুয়ারা।
লাবনী করণ নামে পূর্ব মেদিনীপুরের এক পড়ুয়ার কার্যত ভেঙে পড়েন এই খবর শুনে। তিনি বলেন, “পরীক্ষা হবে বলেই তো জানতাম। এবার কী করব, জানি না। শুনেই আমার হাত-পা কাঁপছে। খুব নার্ভাস লাগছে।” একদিকে মামলার জটে আটকে আছে নিয়োগ, তার মধ্যে বিএড কোর্স নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় কী করবেন বুঝতে পারছেন না আনন্দ শি নামে আর এক ছাত্র।
শুক্রবারই বাতিল হয়েছে রাজ্যের একাধিক কলেজের অনুমোদন। সেই তালিকাতেই নাম রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাসকুড়ার দুই কলেজের। একটি হল মিনার্ভা এডুকেশন। এই কলেজটি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া তাপস মণ্ডলের। আর অপরটি রাসবিহারী এডুকেশন। এটি চলে তাপস মণ্ডলের ভাই বিভাস মণ্ডলের শ্বশুরের নামে। কিন্তু সবটাই দেখাশোনা করেন বিভাসই।
পরিকাঠামো ছিল না ঠিক মতো, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিয়েও যে ত্রুটি ছিল, সে কথা জানিয়েছেন বিভাস নিজে। তবে তাঁর দাবি, সেই সব ত্রুটি মেরামত করে দেওয়া হয়েছে। কলেজের অনুমোদন কেন বাতিল হল? কলেজের সম্পাদক ও সভাপতিই জবাব দেবেন বলে দাবি করেছেন বিভাস।
বর্তমানে মিনার্ভায় পড়ুয়ার সংখ্যা ১৫০ জন আর রাসবিহারীতে ১০০ জন। কী হবে তাঁদের ভবিষ্যৎ? সেটাও জানা নেই বিভাসের। বকলমে রাসবিহারী কলেজের কর্তা হলেও নিজেকে একজন কর্মী বলেই দাবি করেছেন বিভাস।