Child Marriage: বেশ ধুমধাম করেই চলছিল বিয়ের তোড়জোড়, দলবল নিয়ে বিডিও আসতেই উদ্ধার হল রহস্য

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

May 08, 2022 | 7:01 AM

NandaKumar: পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের ঘটনা। সেখানে কিশোররী বিয়ে ভেস্তে দেন খোদ বিডিও। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নাবালিকাদের বিয়ে বন্ধ করতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয়েছে।

Child Marriage: বেশ ধুমধাম করেই চলছিল বিয়ের তোড়জোড়, দলবল নিয়ে বিডিও আসতেই উদ্ধার হল রহস্য
বিডিয়োর উদ্যোগে বিয়ে বন্ধ হল নাবালিকার (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

পূর্ব মেদিনীপুর: চলতি বছর মাধ্যমিক দিয়েছে কিশোরী। দু’টি চোখে স্বপ্ন নিয়ে আরও পথ চলা বাকি রয়েছে তার। তবে সেই স্বপ্ন অধরাই রয়ে যেত যদি না বিডিও থাকতেন। জাঁক-জমক করে চলছিল নাবালিকা মেয়েটির বিয়ের আয়োজন তবে খবর পেয়ে সেই বিয়ে রুখল প্রশাসন।

পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের ঘটনা। সেখানে কিশোররী বিয়ে ভেস্তে দেন খোদ বিডিও। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নাবালিকাদের বিয়ে বন্ধ করতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয়েছে। এরপরেও নন্দকুমার ব্লকের বারগোদাগোদর গ্রামে এক নাবালিকার বিয়ের তোড়জোড় চলছিল। আর সেই খবর পাওয়া মাত্রই নাবালিকার বাড়িতে হাজির হন খোদ নন্দকুমার ব্লকের বিডিও শানু বক্সী। তাঁর হস্তক্ষেপে অবশেষে বিয়ে বন্ধ করা হয়। পাশাপাশি আঠারো বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার মুচলেখা লিখিয়ে নেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বারগোদাগোদর গ্রামের শেখ সাহা রবের মেয়ে বছর ষোলোর নাবালিকা সদ্য মাধ্যমিক  দিয়েছে। তাঁরই বিয়ের তোড়জোড় শুরু করেছিল পরিবার। শনিবারই বিয়ের কথা ছিল। কিশোরীর বিয়ে হচ্ছিল নন্দকুমার ব্লকেরই নাইকুড়ি গ্রামের শেখ জাহিদুল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। গোটা ঘটনার খবর পৌঁছায় নন্দকুমারের বিডিও শানু বক্সীর কাছে। সঙ্গে-সঙ্গে নাবালিকার বাড়িতে গিয়ে হাজির হন তিনি। পরিবারের লোকজনদের বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন। পাশাপাশি উপযুক্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার মুচলেখা লিখিয়ে নেওয়া হয়।

নন্দকুমার ব্লকের বিডিও শানু বক্সী জানান, “আমরা খবর পাই মেয়েটির বয়স না হওয়া সত্বেও তাঁকে ধরে বেঁধে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। বাড়ি থেকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। আমরা সঙ্গে-সঙ্গে ব্লক প্রশাসন এবং পুলিশ গিয়ে বিয়েটিকে বন্ধ করেছি। ১৮ বছর না হলে যাতে বিয়ে না দেওয়া হয় তার জন্য লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে।”

বস্তুত, শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, উত্তর ২৪ পরগনা থেকেও গত কয়েকদিন আগে এই রকমই ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, বছর চব্বিশের রাকেশ মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় বছর পনেরোর ওই নাবালিকার। মেয়েটি দশম শ্রেণীর ছাত্রী। এই বিয়ের সম্বন্ধ করেছিল পাত্রীর প্রতিবেশী কাকিমা মামনি দাস। তবে মেয়ের যে বিয়ে হচ্ছে সেই বিষয়ে কিছুই জানতেন না নাবালিকার বাবা। তবে বিষয়টি জানতেন মেয়েটির মা। তাই কাকিমা ওই পাত্রীকে বাড়ি থেকে এনে দক্ষিণ শিমুলিয়া এলাকায় এক গোপন ডেরায় বিয়ের ব্যবস্থা করেছিল।

অভিযোগ, তবে বিয়ের সম্পুর্ণ তদারকি ও আয়োজন করেছিল স্বয়ং পাত্রের বাবা রঘুনাথ মণ্ডল। কিন্তু বিয়ের  আয়োজন যখন শেষ তখনই গোটা বিষয়ে জানতে পারেন পাত্রীর বাবা নির্মল মণ্ডল। হাসনাবাদ থানায় পাত্র, পাত্রের বাবা ও পাত্রীর কাকিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে হাসনাবাদ থানার পুলিশ শুক্রবার দক্ষিণ শিমুলিয়া গ্রাম থেকে পাত্রের বাবা রঘুনাথ মণ্ডল ও পাত্রীর কাকিমা মামনি দাসকে গ্রেফতার করে। পুলিশি জেরায় ধৃতরা এই অভিযোগ স্বীকার করে নেয়।

Next Article