নন্দীগ্রাম: নয়া বিতর্ক নন্দীগ্রামে। এবার নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। এ বছরের পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের হাত থেকে এই পঞ্চায়েতের বোর্ড ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। বিজেপি পরিচালিত এই পঞ্চায়েত থেকে হঠাৎ ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে পাঁচ অস্থায়ী কর্মীকে। আর এই নিয়েই যাবতীয় বিতর্ক। কেন হঠাৎ করে এই অস্থায়ী কর্মীদের ছাঁটাই করে দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল শিবির। এদের কেউ ২০০৯ সাল থেকে, আবার কেউ ২০১৮ সাল থেকে ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন।
শাসক দলের দাবি, এরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ও সমর্থক। তৃণমূলের নন্দীগ্রাম-১ ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গের বক্তব্য়, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই এই ধরনের অবৈধ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” বিজেপির উদ্দেশে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন তিনি। বলেন, “মনে রাখবেন, প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া আছে।”
যদিও বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের তরফে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, পঞ্চায়েতের আর্থিক সঙ্কটের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান প্রতিমা পাত্র বলছেন, “আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পর, আমাদের হাতে ২৪ টাকা ধরানো হয়েছিল। ওই অস্থায়ী কর্মীরা একশো দিনের কাজের জন্য নিযুক্ত ছিলেন। কিন্তু এখন একশো দিনের কাজ বন্ধ আছে। এদের কাজ করালে, আমরা সাম্মানিক দেব কোথা থেকে? আমরা দায়িত্বে আসার পর পুরো ‘শূন্য’ নিয়ে শুরু করেছি। ওদের বেতন দিতেই পারছি না। তাই ওদের বলা হয়েছে, একশো দিনের কাজ শুরু হলে পরে আবার যোগাযোগ করার জন্য।”
এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। পঞ্চায়েতের রেজোলিউশনে তৃণমূলের সদস্যদেরও সম্মতি ছিল বলেও জানান পঞ্চায়েত প্রধান।
উল্লেখ্য, ভেকুটিয়ার গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ২৫টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ১৭টি আসন এবং তৃণমূল জিতেছিল ৮টি আসন। ছাঁটাই হওয়া অস্থায়ী কর্মীরাও দাবি করছেন, তাঁরা তৃণমূলের সমর্থক হওয়ার কারণেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
এদিকে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বিজেপি পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতে নতুন করে অস্থায়ী নিয়োগের তোড়জোড় চলছে। সেক্ষেত্রে আগের অস্থায়ী কর্মীদের কী কারণে ছাঁটাই করা হল, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের বিডিও-র সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন।