পূর্ব মেদিনীপুর: ধেয়ে আসছে সিত্রাং। গতিপথে কিছুটা স্বস্তি মিললেও বাংলার উপকূলে উদ্বেগ। আগেভাগেই হোটেল ফাঁকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। ক্যানসেল হয়েছে বুকিং। ফলে কালীপুজো ভাইফোঁটার লম্বা ছুটিতে হোটেল মালিকদের লক্ষ্মীলাভের আশায় জল। এক ছুটে ঘুরে আসার মওকা ফস্কানোয় মুখ ভার মধ্যবিত্তেরও।
বাংলার উপকূলে সিত্রাংয়ের শঙ্কা। সোমবার গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার ভোরের মধ্যে বাংলাদেশে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। সাইক্লোনের ল্যাজের ঝাপটা যে এই বঙ্গেও পড়বে তা বলাইবাহুল্য। একে ঝাড়বৃষ্টি। সঙ্গে আবার অমবস্যার ভরা কোটাল। জোড়া ফলায় উপকূলের তিন জেলায় আগেভাগেই সতর্ক প্রশাসন। সমু্দ্রে স্নান, সৈকতে বেড়ানোয় ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। ফলে চরম ক্ষতির মুখে পর্যটনের জেলা পূর্ব মেদিনীপুর। দিঘা, শংকরপুর,মন্দারমনি তাজপুরে পরপর হোটেলে রাতারাতি বাতিল ৯০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ বুকিং।
এক হোটেল মালিকের কথায়, ‘প্রচণ্ড প্রভাব পড়ছে। আমাদের যে বুকিংগুলো ছিল সব বাতিল হয়ে যাচ্ছে। সিত্রাংয়ের প্রভাবের জন্য যেভাবে মাইকিং হচ্ছে, যেভাবে প্রশাসনিক স্তরের তৎপরতা চলছে দিঘার বুকে তাতে আমাদের হোটেল ব্যবসার অনেকটাই ক্ষতি হচ্ছে।’ আর এক হোটেল মালিক বলেন, ‘এই কদিন বড়ো ছুটি ছিল। প্রচুর বুকিংও হয়েছিল। কিন্তু আকাশের যা পূর্বাভাস সেই কারণে অনেক পর্যটক বুকিং বাতিল করছেন। পর্যটকও কমে যাচ্ছে।’
শুধু হোটেলই নয়, মন খারাপ পর্যটকদেরও। একজন বললেন, ‘আমরা বেশিক্ষণ থাকব না। কিছুক্ষণ কাটিয়ে চলে যাব। সমুদ্রে নামব না। তারপর কী হবে পরে বোঝা যাবে।’
উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুরে ২৫টি ব্লক ও পাঁচটি পুরসভা। শনিবার চার মহকুমা শাসক ও জেলা শাসকের দফতরে চালু করা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম। তিনটি এনডিআরএফ ও ২টি এসডিআরএফ দলকে মোতায়েন করা হয়েছে দিঘা, মন্দারমণি ও হলদিয়ায়। পাশাপাশি মাইকিংয়েও জোর দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ব্লকে কোনও রকম দুর্ঘটনা এড়াতে তৈরি হয়েছে আপতকালীন দলও।