মেদিনীপুর: এবার থেকে ময়নার (Moyna) মৃত বিজেপি (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইঞার বাড়ি থাকবে কেন্দ্রীয় জওয়ানদের ঘেরাটোপে। বুধবার সকালে আদালতের নির্দেশ ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক সহ দু’জন নিহত বুথ সভাপতির বাড়িতে। পরে সন্ধ্যেবেলা পৌঁছন আরও বারোজন সিআইএসএফ (CISF) জওয়ান। সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নার বাকচার গোড়ামাহাল এলাকায় বিজেপি বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইঞা দুষ্কৃতীদের আক্রমণে নিহত হন। পরিবারের ও বিজেপি-র অভিযোগ ছিল ওই দুষ্কৃতীরা তৃণমূল করে। এই ঘটনার তদন্ত সিবিআই করুক বলেও দাবি জানিয়েছিল উভয়ই। এমনকী বুথ সভাপতির পরিবারকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতৃত্ব। মৃত বিজয়ের স্ত্রী লক্ষ্মী ভুঁইঞা ময়না থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ৩৪ জনের নামে। তাঁর মধ্যে ৭ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে ময়না থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার তদন্তে নেমে লাগাতার অভিযান ও চিরুনি তল্লাশি চালান পুলিশ আধিকারিকরা। অন্যদিক, ভুঁইঞা পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করারও দাবি ওঠে। এবার আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেল সেই বিজয় কৃষ্ণের ভূঁইয়ার পরিবার। তবে নিরাপত্তা পাওয়ার পরও কপালে ভাঁজ দুঃস্থ পরিবারের। কারণ এই ১৪ জন আধিকারিকের খাবার-পানীয় জল-থাকার বাসস্থান কী হবে সেই পরিকাঠামো তৈরিতেই হিমশিম খাচ্ছে পরিবার।
এই বিষয়ে তমলুকের এসডিপিও (SDPO) সাকিব আহমেদ বলেন,”এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিরা খুব তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে। আমাদের সার্চ অপারেশন লাগাতার চলছে। এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারছি না এই মুহূর্তে।” মৃত বিজয়কৃষ্ণের ছোট ছেলে রণজিৎ ভুঁইঞা বলেন, “কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়ে আমরা অনেকটা নিশ্চিন্ত।”
প্রসঙ্গত, ময়নার গোড়ামহল গ্রামে বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার দিন রাতে বাড়ি থেকে অদূরে পুকুর পাড় থেকে পুলিশ বিজয়কৃষ্ণের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।