কাঁথি: ফের কাঁথি থানায় (Contai Police Station) হাজিরা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর (Soumendu Adhikari)। পথবাতি দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় সোমবার দুপুরে কাঁথি থানায় হাজিরা দেন সৌমেন্দু। দুপুর প্রায় সাড়ে ১২ টা নাগাদ থানায় ঢোকেন। প্রসঙ্গত এর আগেও একাধিকবার কাঁথি থানায় হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। তিনটি পৃথক মামলায় এই নিয়ে মোট তিনবার কাঁথি থানায় হাজিরা দেন সৌমেন্দু। আদালতের নির্দেশে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রক্ষাকবচ রয়েছে তাঁর। অর্থাৎ, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলেও কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না।
দুপুর সাড়ে ১২ টা নাগাদ থানায় ঢুকেছিলেন তিনি। এরপর সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ থানা থেকে বেরিয়ে আসেন। প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সৌমেন্দু অধিকারীর বলেন, ” যদিও সকাল সাড়ে ১০ টা সময় আসতে বলেছিল। আমি সময় চেয়েছিলাম। দুপুর সাড়ে ১২ টা সময় কাঁথি থানায় এসে হাজির হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশে সহযোগিতা করতে এসেছি। তদন্তে আমরা সহযোগিতা করছে। যারা তদন্ত করছে তারাই সব কিছু বলতে পারবে। মূলত পথবাতি মামলার জিজ্ঞাসাবাদ চালাল তদন্তকারীরা।” কাঁথি থানায় সৌমেন্দু অধিকারীকে তলব প্রসঙ্গে তাঁর আইনজীবী অনির্বাণ চক্রবর্তী বলেন, “পথবাতি দুর্নীতির মামলায় সৌমেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। তবে আমার মক্কেল নির্দোষ”
উল্লেখ্য, অতীতে কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান ছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী। দুই বারের পুরপ্রধান ছিলেন তিনি। অভিযোগ উঠছে, সেই সময়ে পুরসভার একাধিক কাজে দুর্নীতি হয়েছিল। কাঁথি শহরে পথবাতি বসানোর কাজে মোটা অঙ্কের টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আবার রাঙামাটি শ্মশানে স্টল বসানোকে কেন্দ্র করেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এমন বেশ কিছু মামলার তদন্ত চালাচ্ছে কাঁথি থানার পুলিশ। অতীতে শ্মশান মামলার তদন্তেও কাঁথি থানায় ডাকা হয়েছিল সৌমেন্দু অধিকারীকে। এদিন পথবাতি মামলা সংক্রান্ত বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাঁথি থানায় তলব করা হয়েছিল তাঁকে।
এদিকে সৌমেন্দুর আইনজীবী দাবি করছেন, তাঁর মক্কেল নির্দোষ। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এই তলব স্বাভাবিকভাবেই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা। এখন দেখার সৌমেন্দুকে জিজ্ঞাসাবাদে এই সংক্রান্ত নতুন কোনও তথ্য তদন্তকারী আধিকারিকরা হাতে পান কি না।