Sujan taunts Mamata: ‘যদি হিম্মত থাকে…’, শুভেন্দুকে টেনে মমতাকে কী চ্যালেঞ্জ দিলেন সুজন?

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Jun 21, 2022 | 10:31 PM

Sujan Chakraborty: আক্রমণের সুর চড়িয়ে সিপিএম নেতার সংযোজন, "দিদিমণি বলছেন দাদামণি করেছেন,দাদামণি তখন সরকারে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন শুভেন্দু দুর্নীতি করেছেন। তাহলে, সেই সব দায় কার? মুখ্যমন্ত্রীর তো!"

Sujan taunts Mamata: যদি হিম্মত থাকে..., শুভেন্দুকে টেনে মমতাকে কী চ্যালেঞ্জ দিলেন সুজন?
মমতাকে খোঁচা সুজনের

Follow Us

তমলুক : রাজ্যের একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে মুখ পুড়ছে সরকারের। চলছে আক্রমণ, প্রতি-আক্রমণের পালা। আর এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। বললেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছি যদি হিম্মত থাকে, তাহলে তাঁর আমলে শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রী থাকাকালীন যে যে দুর্নীতি হয়েছে তা আপনি তদন্ত করান এবং পারলে সর্বসমক্ষে প্ৰকাশ করুন।” মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বামফ্রন্টের ডাকে জেলা সদর তমলুকে মানিকতলা থেকে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত একটি পদযাত্রা করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিপিএম নেতা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, অনাদী সাউ, জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি, পরিতোষ পট্টনায়ক,ইব্রাহিম আলি ,অমৃত মাইতি সহ একাধিক বাম নেতৃত্ব। কর্মসূচির শেষে রাজ্যের পরিস্থিতি ও কেন্দ্রের উদাসীনতা নিয়ে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন সুজন বাবু।

সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মানিক ভট্টাচার্য দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। ঘুষ নিয়েছেন, ঘুষের ভাগ দিয়েছেন। কাকে ভাগ দিয়েছেন? যাঁরা যাঁরা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের সঙ্গে কারা কারা যুক্ত তাঁদের কোমরে দড়ি পরিয়ে হাজতে ঢুকাতে হবে। এত সম্পত্তি মানিক বাবুদের এল কোথা থেকে, দিক হিসেব,মানুষের টাকা।” আক্রমণের সুর চড়িয়ে সিপিএম নেতার আরও সংযোজন, “দিদিমণি বলছেন দাদামণি করেছেন,দাদামণি তখন সরকারে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন শুভেন্দু দুর্নীতি করেছেন। তাহলে, সেই সব দায় কার? মুখ্যমন্ত্রীর তো! শুভেন্দু , রাজীবদের থেকে বড় দুর্নীতিবাজ হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।”

সুজন বাবু সেই সঙ্গে আরও বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছি যদি হিম্মত থাকে তাহলে তাঁর আমলে শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রী থাকা কালীন যে যে দুর্নীতি হয়েছে তা আপনি তদন্ত করানা। পারলে সর্ব সমক্ষে প্ৰকাশ করুন। কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে পর্ষদ ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে। তা কার পয়সায় যাচ্ছে? মানুষের ট্যাক্সের টাকায় দুর্নীতিকে চাপা দিতে যাচ্ছে, এটা হয় কখনও? ওরা সিঙ্গেল করুক, ডবল করুক, ডিভিশনে যাক, উডবার্নে যাক… ধরা ওরা পড়বেই। আর ধরা পড়লেই কোমরে দড়ি দিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তা না হলে বাংলার ছাত্র যুবরা শান্তি পাবে না।”

Next Article