অবন্তিকা প্রামাণিক
Jun 21, 2022 | 6:36 PM
দাম বাড়ছে ইলিশের (নিজস্ব ছবি)
লঞ্চ-ট্রলার মালিকদের কথায়, ইলিশ ছাড়া প্রথম দফায় যে পরিমাণ মাছ উঠেছে তা খুব একটা কম না। তবে ডিজেলের দাম যে হারে বেড়েছে সেখানে ইলিশ ছাড়া লাভের আশাও খুব একটা নেই বললে চলে।নয়ত, আগামী দিনে ব্যবসা চালানো মুশকিল হবে। তাই ইলিশ জালে ওঠা চাই।
এ দিকে, ইলিশ উপযোগী আবহাওয়ায় তৈরি হয়েছে। তাই মৎস্যজীবীদের আশা এই বার কমবেশি ইলিশ জালে পড়বেই। ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি ছাড়াও, ইলিশ সহ সামুদ্রিক মাছের আকালের জন্য গত ২ বছরে মাছের কারবারে চরম লোকসান হয়েছে এলাকার লঞ্চ-ট্রলার মালিকদের। সেই কারণে খুব আশা নিয়ে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল হাজার খানেক লঞ্চ-ট্রলার। বাকিরা মাছের আমদানি দেখে রয়েসয়ে সমুদ্রে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি যা তাতে এখনই সমুদ্রে নামার কথা ভাবছেন না তাঁরা।
সূত্রের খবর, প্রথম দফায় কাঁথি সমুদ্র উপকূলের পেটুয়া, শঙ্করপুর মৎস্য বন্দর, শৌলা ও দিঘা মোহনা এলাকা থেকে হাজার খানেক লঞ্চ-ট্রলার পাড়ি দিয়েছিল গভীর সমুদ্রে। ইতিমধ্যে অর্ধেকের বেশি লঞ্চ-ট্রলার ফিরে এসে ভিড়েছে বিভিন্ন বন্দর ও মোহনা এলাকায়।পমফ্রেট, ভেটকি, ভোলা, ট্যাংরা, চিংড়ি সহ অন্যান্য মাছ তাদের জালে উঠলেও সেভাবে ধরা পড়েনি রুপোলি ফসল ইলিশ। উঠলেও তা সংখ্যায় বা পরিমাণে খুবই কম।
কোনও কোনও লঞ্চ বা ট্রলার পেয়েছে হাতেগোনা দু'য়েকটা ইলিশ। কেউ বা পেয়েছে একটু বেশি। খুব বেশি হলে ৫০- ১০০ কেজি। ১৫ জুন থেকে দিঘা মোহনার মৎস্য নিলাম কেন্দ্র খুলে গেলেও মাছের বিক্রিবাট্টা শুরু হয়েছে ১৭ জুন থেকে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত অর্থাৎ গত ৫ দিনে সেখানে ১৫০ টন মতো মাছ উঠেছে। তাতে ইলিশের পরিমাণ সাকুল্যে ২ টনের কাছাকাছি। যার বেশিরভাগ আবার এসেছে উড়িষ্যা থেকে। সব মিলিয়ে বিগত ২ বছরের মতো এবারও মরশুমের শুরুতে দিঘায় ইলিশ আমদানি একেবারেই হতাশাজনক বলা চলে।
মন খারাপ মৎস্যজীবী থেকে আম বাঙালির । তবে পরিমাণে কম হলেও আকারে-ওজনে উৎপাদিত ইলিশগুলি ভীষণ উৎকৃষ্টমানের। একটির ওজন ৭০০-৮০০ থেকে শুরু করে ১ কেজি - ১৪০০ গ্রাম। দামও হয়ে গেছে আকাশচুম্বী। ৯০০- ১২০০, ১৪০০-১৬০০ টাকা। এই উচ্চ মূল্যের কারণে ইলিশের ধারে কাছে ঘেঁষতে পারছেন না সাধারণ ক্রেতারা।