পূর্ব মেদিনীপুর: ঘরের মধ্যেই ঘাপটি মেরেছিল ঘাতক। তেমনটাই মনে করছেন পরিবারের লোকজন। তারপর সুযোগ বুঝেই নৃশংসভাবে খুন করে পালালো ছেলেটিকে। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের রাজরামপুর ভিমমন্দির এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম অতনু ঘাঁটি। এলাকায় তিনি সিপিএম কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সূত্রের খবর, গতকাল রাত্রিবেলা লাগাতার ভোজালির কোপ মেরে খুন করা হয়েছে অতনুকে। তবে রাজনৈতিক হিংসা নাকি পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পরিবারের দাবি, বাড়ির ভিতরেই ঘাপটি মেরে বসেছিল ঘাতক। তারপর সুযোগ বুঝে খুন করে অতনুকে।তদন্তে হলদিয়া মহকুমা পুলিস আধিকারিক রাহুল পাণ্ডে। মৃতের এক আত্মীয় বলেন, ‘বাড়িতেই আততায়ী লুকিয়ে ছিল। ওকে ভোজালি মেরেছে অনেক জায়গায়। এইটুকু শুনেছি। বাদ বাকি আমি জানি না। তবে কী কারণে হয়েছে বুঝতে পারছি না।’ অপরদিকে মৃতের বাবা জানান, ‘আমার ছেলের কাছে একটি ফোন এসেছিল। সেখানে ওর কাছ থেকে টাকা চায়। যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল সেই নম্বরটি ফোনে ছিল। কে ফোন করেছিল বলতে পারব না। এরপর ও নম্বর ব্লক করে দেয়। তখন ফের ফোন আসে ওর কাছে। এইভাবে তিন-চার রকমভাবে ফোন আসে। আমি এরপর পুরুলিয়া যাই। এর আগে আমার কাছে একজন টাকা চেয়েছিল। আমি তাকে অল্প টাকা দিই। সম্ভবত, যে নম্বরগুলি থেকে ফোন আসছিল সেই এই কাজ করেছে। মঙ্গল সামন্তকে সন্দেহ করছি আমি। যে আমার কাছ থেকে টাকা চেয়েছিল।