রামনগর: দহন জ্বালায় ভুগছে বাংলা। তার মধ্যে বৈশাখের মাঝে এক ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। মৌসম ভবনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় সকালের আপডেটে জানিয়েছিলেন ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে ৮ তারিখ একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ আন্দামান সাগরে। ৯ তারিখ আরেকটু ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এ দিকে, মোখার জেরে সতর্ক প্রশাসন। উপকূলের জেলায় জারি হয়েছে সতর্কতা।
সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর ১ নম্বর ব্লকে আজ মহড়া প্রস্তুতি হয়েছে। সেই মহড়া প্রস্তুতি হয় তালগাছাড়ি ২ নম্বর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চাঁদপুর আয়লা সেন্টারে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি। রামনগর ১ নম্বর ব্লকসমষ্টি আধিকারিক লিপেন তালুকদার, ডিএসটির আধিকারিক মানুষ মণ্ডল,মন্দারমণি থানার ওসি,তালগাছাড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিশ্বজিৎ জানা ও রামনগর ১ নম্বর ব্লক আধিকারিক। ঝড় এলে মানুষকে কীভাবে পরিষেবা দেওয়া হবে সেই সব কিছুর মহড়া হয়। এ দিন, দিঘা, মন্দারমণি, হলদিয়া সহ একাধিক জায়গায় মাইকিং করে সতর্ক করা হয় সাধারণ মানুষকে। ঝড়-বৃষ্টির সময় অযথা বাইরে বের হতে মানা করা হচ্ছে। পাশাপাশি সমুদ্রস্নানেও পর্যটকদের জন্য জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
তবে শুধু উপকূল নয়, সোমবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুরুতেই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করেন তিনি। বলেন, “মোখা একটা লো প্রেশার আছে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সরকার নজর রাখছে।” সঙ্গে এও বলেন, “১০ মে কিছুটা সাইক্লোনিক স্টর্ম আসবে। যদি সেরকম কোনও পরিস্থিতি হয় আগে থেকে বিশেষ করে সুন্দরবন, দিঘা, নদীমাতৃক, উপকূলবর্তী যে এলাকা, সেখান থেকে আমরা উদ্ধার করার চেষ্টা করব তেমন। আমরা নজরে রেখেছি।” মুখ্যমন্ত্রী জানান যে, ইতিমধ্যেই সরকার কন্ট্রোল রুম খুলেছে। মুখ্যসচিব বৈঠকও করেছেন সাইক্লোন নিয়ে। ১৪ জুন পর্যন্ত মাছ ধরা বন্ধ সাগরে। পর্যাপ্ত ত্রাণের জিনিস রয়েছে। ২৫ লক্ষ ত্রিপল, পোশাক জেলাশাসককে দেওয়া হয়েছে।