Digha: অন্যের প্রাণ বাঁচিয়ে জীবনের লড়াইতে হেরে যান নুলিয়া, আজ ‘ভাত জোটে না’ পরিবারের

Kanishka Maity | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

May 09, 2023 | 5:12 PM

Digha: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা থানার সিভিল ডিফেন্সের (নুলিয়া) কর্মী সঞ্জয় শিট। তিন বছর আগে ওল্ড দিঘার জগন্নাথ ঘাটে জীবন বাজি রেখে কলকাতার পর্যটককে উদ্ধার করতে যান। তখনই ঘনিয়ে আসে বিপদ! উদ্ধারে গিয়ে কালো পাথরের খাঁজে পড়ে গিয়ে বুকে ভীষণ চোট পান তিনি।

Digha: অন্যের প্রাণ বাঁচিয়ে জীবনের লড়াইতে হেরে যান নুলিয়া, আজ ভাত জোটে না পরিবারের
অসহায় পরিবার (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

দিঘা: উৎসব হোক কিংবা দুর্যোগ, সাগরের কিনারায় তৎপর তাঁরা। সব পরিস্থিতিতেই সৈকতে রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি পাওয়া যায় নুলিয়াদের। কিন্তু আকস্মিক দুর্ঘটনায় জীবন দিলে সেই পরিবারগুলির দেখার দায়িত্ব কার? উঠছে প্রশ্ন।

পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা থানার সিভিল ডিফেন্সের (নুলিয়া) কর্মী সঞ্জয় শিট। তিন বছর আগে ওল্ড দিঘার জগন্নাথ ঘাটে জীবন বাজি রেখে কলকাতার পর্যটককে উদ্ধার করতে যান। তখনই ঘনিয়ে আসে বিপদ। উদ্ধারে গিয়ে কালো পাথরের খাঁজে পড়ে গিয়ে বুকে ভীষণ চোট পান তিনি।

সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের বেতন খুবই কম। মৃত্যুকালে সঞ্জয়ের বেতন ছিল ১৩ হাজার। যা এখন বেড়ে ১৭ হাজার টাকা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সঞ্জয়ের বাড়িতে ৮ জন সদস্য। রয়েছেন দুই ভাই, এক বোন, বাবা, মা, স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে। এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা চালিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। প্রায় আড়াই বছর আগে মারা যান সঞ্জয়।

বর্তমানে সঞ্জয়ের স্ত্রী ও দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে। তাঁর মৃত্যুর পর পরিবারে নেমে এসেছে ঘোর অভাব অনটন। বর্তমানে এক প্রকার অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটছে সবার। সঞ্জয়ের স্ত্রী মানসীকে চাকরি সহ ৩ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। তবে এখনও পর্যন্ত কিছুই জোটেনি। এমনকী বিধবা ভাতা পর্যন্ত মেলেনি বলেই অভিযোগ। দিনের পর দিন সরকারি আধিকারিক থেকে নেতা মন্ত্রী ও রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিদের কাছে ছুটে চলেছেন। সঞ্জয়ের স্ত্রী বলেন, কোনওরকম সাহায্য পাননি তাঁরা। শুধু প্রতিশ্রুতিই মিলছে।

অগত্যা গতকাল কাঁথি মহকুমা শাসক দফতরে এসে ধরনা দেন সঞ্জয়ের স্ত্রী ও মেয়ে সহ আত্মীয়রা। শুধুই আশ্বাস ছাড়া জোটেনি কিছুই। কবে ফিরবে এই শিট পরিবারের হাল! তেমনি প্রশ্ন ঘুরা ফেরা করছে সৈকত উপকূলে। মানসী সিট বলেন, “খুব কষ্টেই চলছে। ভাঙা বাড়ি। জল পড়ে। দুমুঠো খেতে পাই না। ডিএম, এসডিও সকলের কাছেই কাছে গিয়েছি। কোনও সাহায্য পাইনি। দু’টো বাচ্চাকে নিয়ে খুব অসুবিধায় আছি।”

Next Article