ভগবানপুর: দীর্ঘদিন থেকেই বাম সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। ব্রিগেডে ডাক পড়লেই ছুটে যেতেন। এবার সেই ব্রিগেডে যাওয়ার পথেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ৬৮ বছর বয়সী কার্তিক জানার। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরে। এদিন তাঁর বাড়িতে আসেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee)। সঙ্গে ছিলেন দলের অন্য নেতা-কর্মীরা। কথা বলেন কার্তিকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। পাশে থাকারও বার্তা দেন। মীনাক্ষীকে পাশে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় কার্তিকের পরিবারের সদস্যদের।
এদিন কার্তিকের ছবিতে মাল্যদান করেন মীনাক্ষী। মালা দেন সিপিএমের স্থানীয় নেতৃত্বরা। ওঠে লাল সেলাম স্লোগান। কার্তিকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন মীনাক্ষী। বলেন, “উনি আমাদের একজন দক্ষ কর্মী ছিলেন। তিনিও গিয়েছিলেন ব্রিগেডে। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখানেই মারা যান। খবরটা পেয়ে আমরা খুব চিন্তিত হয়ে পড়ি। ওনাদের পরিবার তো আমাদেরই পরিবার। লড়াইয়ের ময়দানে আমরা সব মানুষকে বলেছিলাম আসুন। উনি সংগঠনের প্রচারে দীর্ঘদিন থেকে ছিলেন। এলাকায় প্রচার করেছিলেন। এলাকার লোকজনকে নিয়ে গিয়েছিলেন। ওনার মৃত্যুতে আমাদের খুবই ক্ষতি হল। উনি তো এলাকার মানুষের রুটি-রুজির স্বার্থে লড়াই করতেন। তাই এই ক্ষতি অপূরণীয়। তাই ওনার পরিবারের সঙ্গে থাকব এটা তো আর আলাদ করে বলতে হয় না। এটা তো আমাদেরই পরিবার। উনি যে লড়াইটা করার জন্য ওখানে গিয়েছিলেন সেটা আমরা শেষ অবধি লড়ব। এটা আমাদের প্রয়াত কমরেডের প্রতি শপথ।”
তবে এদিন লোকসভা ভোটের প্রসঙ্গ উঠতেই বারবার মীনাক্ষীর মুখে শোনা গেল লড়াইয়ের কথা। সাফ বললেন, “বুথের লড়াইটাই ব্রিগেডে একটা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। যে কমরেড মারা গিয়েছেন তাঁর স্ত্রীও তো মার খেয়েছেন। এখন মানুষ অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে। লোকসভা ভোটে যদি এর বিরুদ্ধে লড়াই হয় তাহলে বুথের লড়াইটাই তো শেষ কথা।”