দিঘা: দক্ষিণবঙ্গে জাঁকিয়ে ঠান্ডা! বড়দিনে শীতকে উপভোগ করতে দিঘায় ভিড় ভ্রমণ পিপাসু বাঙালির। তৈরি উপকূলের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরও। সৈকত সুন্দরী রীতিমত মোহময়ী রূপের লাস্যময়ী ভঙ্গিমায় আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
রণংদেহি ভঙ্গিমায় দাঁড়িয়ে থাকবে রাজা, মন্ত্রী আর হাতি–ঘোড়ার দল। সাজ সাজ রব রণের মাঠ। শতরঞ্জিতে সেজে বসে থাকবে দাবার ঘুঁটি। তাও আবার সমুদ্রের একেবারেই কাছে, খোলা আকাশের নীচে! ওল্ড দিঘার সৈকতাবাস সংলগ্ন প্রথম বিশ্ব বাংলা উদ্যানের নকশার একটি দৃশ্য।
এছাড়াও পুরো উদ্যানটি সেজে উঠছে জোড়া প্রবেশদ্বার, ৪ টি গাজিবোস-সহ আধুনিক ব্যবস্থায়। বসানো হচ্ছে বাতিস্তম্ভ, বসার জায়গা, পার্কের গায়ে পড়ছে রঙের প্রলেপ। সেখান থেকে দাঁড়িয়ে- বসেই উপভোগ করা যাবে সাগরবেলায় সফেন ঢেউয়ের আনাগোনা। পাশাপাশি শিশু কর্নারেও যুক্ত করা হবে আধুনিক সব রাইড। সেলফি জোন আই লাভ দিঘা ট্যাগ, গ্যাস বেলুন, পিকনিক স্পট- সহ পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে নজর রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল দিঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমনির উপকূলীয় অঞ্চল। রাস্তাঘাট, সৈকতের সৌন্দার্যায়নের কাজ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ইয়াসের সেই ক্ষত সংস্কার সহ সৈকত নগরীকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার কাজ করেছে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। এর জন্য খরচ প্রায় ১৫ কোটি আর তাতেই সাজ বদল ঘটতে চলেছে সৈকত সুন্দরীর। বড় দিনের আগে সম্পূর্ণ ভাবে দিঘামুখী করাই মূল টার্গেট প্রশাসনের।
সাজসজ্জার কাজ পুরোপুরি শেষ। প্রশাসনিক আধিকারিকরা নিশ্চিত, দিঘার অপরূপ দৃশ্যে মুগ্ধ হবেন পর্যটকরা। উন্নয়ন পর্ষদের চেষ্টায় দিঘা রাজ্যের মানুষের কাছে হোক ফাস্ট ডেস্টিনেশন, এমনটাই চাইছেন তাঁরা। এই সৈকতকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রূপে পর্যকদের কাছে উপস্থাপন করার লক্ষ্যে এগোচ্ছেন তাঁরা। দার্জিলিং নয় দিঘাই বাঙালির প্রথম পছন্দ হবে, দাবি পর্ষদের কর্তাদের।
এক হোটেল মালিক বললেন, “১৫ দিন আগে থেকেই হোটেলগুলির রুম বুক হতে শুরু করেছে। গত দুবছরে তেমনটা ভিড় ছিল না দিঘায়। আবার এই বড়দিনে সেটা দেখা যাচ্ছে। ব্যবসা ভাল হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।”