হলদিয়া: বালেশ্বরের করমণ্ডল দুর্ঘটনার প্রভাব পড়ছে হলদিয়া বন্দরে। আটকে রয়েছে বন্দরে আসা পণ্য়। যার ফলে আর্থিক দিক থেকেও ভুগতে হচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষকে। পরিকাঠামো নিয়েও সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে দ্রুত সেই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যাবে বলে আশা করছেন বন্দরের কর্তারা। জুন মাসের শুরুতেই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে ওড়িশার বালেশ্বরে। বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস, যশবন্তপুর এক্সপ্রেস ও একটি পণ্যবাহী ট্রেন।
হলদিয়া বন্দরের জিএম অমল কুমার মেহেরা জানিয়েছেন, জাহাজে আসা পণ্য রেলের মাধ্যমে অন্য রাজ্যে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর থেকেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পরিষেবা স্বাভাবিক হলেও রেলের গতির পাশাপাশি চলাচলের সংখ্যাও কমেছে। এর ফলে সমস্যা তৈরি হয়েছে এই বন্দরে। বন্দর থেকে ট্রেনে করে মূলত কয়লা পাঠানো হয় অন্যান্য রাজ্যে। জাহাজে আসা সেই সব পণ্য রেলের মাধ্যমে অন্য রাজ্যে রফতানিতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে হলদিয়া বন্দর। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মাসখানেক এই সমস্যা থাকবে, তবে ধীরে ধীরে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী তাঁরা।
উল্লেখ্য, ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯৪। এত বড় দুর্ঘটনার নজির সাম্প্রতিককালে নেই বললেই চলে। ঘটনার পর রেলের তৎপরতায় দ্রুত লাইন মেরামত করা হয়।