পূর্ব মেদিনীপুর: প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আর সেখানে এসে হল ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা।এগরা মহকুমা হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন এগরা দু নম্বর ব্লকের জুমকী গ্রাম পঞ্চায়েতের চাটলা গ্রামের তনুশ্রী পাত্র। কিন্তু বাচ্চা প্রসবের সময়েই হাসপাতালের কর্মরত নার্সদের হাতে আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। প্রসবের লোহার যন্ত্রপাতি দিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। পায়ের তলায় ছুঁচও ফুটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকি গালে পড়ে চড় থাপ্পড়ও।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২১ তারিখ অর্থাৎ সপ্তমীর সকাল ৭ টা নাগাদ তনুশ্রীকে এগরা মহকুমা হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করানো হয়। আর দুপুর ১টা নাগাদ মেয়েকে লেবার রুমে নিয়ে যান নার্সরা। ঘণ্টা খানেক পরে তনুশ্রী কন্যা সন্তানের জন্ম দেন । যা স্বাভাবিক নিয়মে হয়েছে।
তনুশ্রীর আগে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে, তার বয়স ৫ বছর। আর তাঁর দ্বিতীয় সন্তান। পরিবারের অভিযোগ, লেবার রুম থেকে বেরনোর পরই কাঁদতে শুরু করেন তনুশ্রী। তিনি পরিবারের সদস্যদের জানান, নার্সরা লেবার রুমে তাঁকে প্রচুর মেরেছেন।
লোহার রড দিয়ে দু পায়ের থাইতে মেরেছেন বলে অভিযোগ, তার দাগও রয়েছে।
তনুশ্রীর পায়ে এই ভাবে মারের দাগ দেখে প্রসূতি বিভাগের অন্যান্য প্রসূতিরা প্রতিবাদ করেন। নার্সদের বকাবকি ও টানা হিঁচড়া শুরু করেন। তখনকার মতো পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেলেও তনুশ্রীর বাবা স্বপন পাত্র এগরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নার্সদের বিরুদ্ধে।
এগরা মহকুমা হাসপাতাল সুপার সমীর আচারিয়াকে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন। ওই নার্স ও ডাক্তারের বিরুধ্যে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন। এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা এগরার বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতিকে সমস্ত ঘটনার বিবরণ জানিয়েছেন প্রসূতি তনুশ্রীর বাবা স্বপন প্রধান। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানা কিংবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ।