Digha: ‘দিঘার বিচে আর কাউকে বসতে দেওয়া হবে না’, বড় সিদ্ধান্ত জানাল প্রশাসন
Digha: সৈকত নগরীকে সুন্দর করে সাজাচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। দিঘায় তৈরি হচ্ছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে মন্দির। নিঃসন্দেহে এই মন্দিরের দ্বার খুলে গেলে পর্যটনে দিঘার মুকুটে নতুন পালক যুক্ত হবে। তার আগে নিউ দিঘা থেকে ওল্ড দিঘা পর্যন্ত রাস্তার দু'ধারে দখলদারি রুখতে ময়দানে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ।
পূর্ব মেদিনীপুর: সৈকত নগরীর সৌন্দর্য ধরে রাখতে দীর্ঘদিন ধরেই উদ্যোগী দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। দিঘায় বেআইনি দখলদারি রুখতেও উদ্যোগী তারা। এবার সৈকত নগরীর নিউ দিঘায় অবৈধ হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করল পর্ষদ। রাস্তার পাশে অবৈধভাবে বসে থাকা ঝুপড়ি, অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ অভিযানে নামেন দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিল দিঘা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তারা জানিয়ে দিয়েছে, সমুদ্র সৈকতে বা বিচে আর কোনও অস্থায়ী দোকান রাখা যাবে না। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের হেড ক্লার্ক চন্দন কর্মকার বলেন, “বিচ বরাবর হকারদের উঠিয়ে দিয়েছি। বেঞ্চ নিয়ে বসে যারা, ডাব বিক্রি করে যারা, তুলে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিচে আর কাউকে বসতে দেওয়া হবে না।”
সৈকত নগরীকে সুন্দর করে সাজাচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। দিঘায় তৈরি হচ্ছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে মন্দির। নিঃসন্দেহে এই মন্দিরের দ্বার খুলে গেলে পর্যটনে দিঘার মুকুটে নতুন পালক যুক্ত হবে। তার আগে নিউ দিঘা থেকে ওল্ড দিঘা পর্যন্ত সৈকতে ও রাস্তার দু’ধারে দখলদারি রুখতে ময়দানে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। এমনিতেই সারা বছর দিঘায় পর্যটকের ভিড়।
বর্ষার মরসুমে ভিড় আরও বাড়ছে পর্যটকদের। তবে সমুদ্রের ধারে প্রচুর চা, মাছভাঙা, শঙ্খের নানা জিনিস, ডাবের দোকান রয়েছে। পর্যটকদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তাই কড়া পদক্ষেপ প্রশাসনের। চন্দন কর্মকারের কথায়, “দিঘায় অবৈধ হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। আগে থেকে ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছিল। তারা কোনও নির্দেশে মান্যতা দেয়নি। তাই এবার ময়দানে প্রশাসন।”