হলদিয়া: চার বছর আগে বিয়ে হয়েছিল ওঁদের। তবে আশপাশ থেকে কানাঘুষো শুনতে পেয়েছিলেন স্ত্রীর মন মজেছে অন্য কারও প্রতি। এর জেরে সব সময়ই লেগে থাকত দাম্পত্য কলহ। তবে পরিণতি এমন হবে কে ভেবেছিল। পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে খুন করলেন স্বামী। অন্তত তেমনটাই অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল সুতাহাটা থানার পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়ায়।
বছর চারেক আগেই পেশায় ছুতোর ইচ্ছাপুরের অধিবাসী অরুণ মাকড়ের (৪২)সঙ্গে বিয়ে হয় সুতাহাটা থানার হোরখালীর বাসিন্দা মিতা মাকড়ের (৩৫)। দিব্যি সংসার চলছিল। অরুণের আদি বাড়ি মহিষাদল হলেও সে থাকত সুতাহাটা থানা এলাকায়। নিত্যদিনের মতো কাজে বেরিয়ে যেতেন । আর মিতা থাকতেন ঘরে। বেশ কিছু দিন ধরে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে চলছিল মনোমালিন্য বলেই খবর। প্রায় সেই থেকেই চলত ভাড়া বাড়িতে
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল বিবাদ।
প্রতিবেশীদের থেকে কানাঘুষো জানতে পারে স্ত্রীর মন মজেছে তৃতীয় ব্যক্তির দিকে। আর এর জেরে ঝঞ্ঝাটহীন সংসারে ফাটল চাওড়া হয় দিন দিন। শনিবার সেই অশান্তি চরম আকার ধারণ করে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন বিকাল ৩টে নাগাদ হলদিয়ার সুতাহাটা থানার চৈতন্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস পাড়া এলাকায়। স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে জোর বিবাদ হয়। অভিযোগ, বিবাদের জেরে অবশেষে স্বামী হাসুয়া অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর গলায় কোপ দেয় বলে জানা গিয়েছে। পরে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ওই মহিলাকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ দেখে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। অভিযুক্ত অরুণকে গ্রেফতার করে পুলিশ।