পূর্ব মেদিনীপুর: ত্রাণের ত্রিপল চুরির চেষ্টার অভিযোগ উঠল পাঁশকুড়ায়। পাঁশকুড়া ব্লকের ধুলিয়াপুরে তৃণমূলের বুথ সভাপতির বাড়ি থেকে ত্রাণের ত্রিপল উদ্ধার হয়েছে বলে বিজেপির অভিযোগ। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, সরকারি ত্রাণ বণ্টনে তৃণমল দলবাজি করছে। রাজনীতির রং দেখে ত্রাণ দিচ্ছে। এমনকী তৃণমূলের বুথ সভাপতি বাড়ি থেকে ত্রিপলও উদ্ধার হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ, গ্রামবাসী নন, বিজেপির লোকজন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বুথ সভাপতির বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা বাদল দাসের অভিযোগ, “নৌকায় ৯০টা ত্রিপল চুরি করে নিয়ে পালিয়েছে। অমল খাটুয়া, মুকলেসুর দত্তরা কাউকে পাত্তা না দিয়ে ত্রিপল নিয়ে গিয়েছে। তৃণমূল নেতা হরেকৃষ্ণ মাইতির ঘরে রেখে দিয়েছে। আমাদের পঞ্চায়েত সদস্য় বলছে তাও শোনেনি।”
পাঁশকুড়ার বিজেপি নেতা সিন্টু সেনাপতির কথায়, “গত ৮ দিন ধরে পাঁশকুড়া বিধানভার ৪টি অঞ্চল ও পুরসভার ৬টি ওয়ার্ড বন্যা কবলিত হয়ে আছে। আমরা বিজেপির তরফে সরকার পক্ষের কাছে আবেদন করেছিলাম রং বিচার না করে, রাজনীতি না করে ক্ষতিগ্রস্ত সকলে যেন ত্রাণ পান। সমবণ্টনের দাবি ছিল পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের কাছে। কিন্তু যেখানে বিজেপির জেতা বুথ বা বিজেপির সদস্য আছে সেখানে ওরা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। উপপ্রধান মুকলেসুরের নেতৃত্বে ৮০-৯০টা ত্রিপল নিয়ে গিয়েছে ওরা। আমাদের পঞ্চায়েত সদস্য সুশান্তকে না জানিয়ে সব করেছে।”
পাল্টা মুকলেসুরের বক্তব্য, “আমি বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ দিতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ করে বিজেপির সদস্য সুশান্ত মাইতি লোকজন নিয়ে ত্রাণ লুঠের চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে আমাকে আক্রমণ করে। সিন্টু সেনাপতি দুষ্কৃতী নিয়ে গিয়ে তৃণমূলের অমল খাটুয়া-সহ কয়েকজনকে মারধর করেছে। আর কারও বাড়ি থেকে ত্রিপল উদ্ধার হয়নি। মিথ্যা কথা বলছে।” একই বক্তব্য অমল খাটুয়ার। বলেন, তাঁকে বিজেপির লোকেরা মারধর করেছে। পাঁশকুড়া থানায় দুই পক্ষ লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন।