Flood: ‘বই তো ভেসে গিয়েছে’, বন্যার জলে দাঁড়িয়ে অসহায় শিউলি বলছে, ‘টেস্ট পরীক্ষা দেব কীভাবে?’
Flood: শিউলির বক্তব্য, বেশ কয়েকদিন ধরে কাঁসাই নদীর জলস্তর বাড়ায় তার পরিবার দুশ্চিন্তায় ছিল। বই এবং পড়াশোনার উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় কীভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করবে, সেটা এখনও তার কাছে সবচেয়ে বড় চিন্তার।
পাঁশকুড়া: বন্যার জল ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে পড়ার বই। দুর্গা পূজার পরেই মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা। ছাত্রজীবনের বড় পরীক্ষার প্রস্তুতি কীভাবে সারবেন পাঁশকুড়ার শিউলি রুইদাস? সাহায্যের আবেদন প্রশাসনের কাছে।
পাঁশকুড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড পুরোপুরি জলমগ্ন। এই ওয়ার্ডের জদরা এলাকার বাসিন্দা শিউলি রুইদাস দশম শ্রেণির ছাত্রী, অঙ্কিতা দাস অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। শিউলির কাছে চলতি বছরে অনেক চ্যালেঞ্জ, কারণ ছাত্র জীবনের প্রথম সবচেয়ে বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে সে। মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে অনেক স্বপ্ন তার। বন্যা পরিস্থিতি তাঁকে প্রবল চিন্তায় ফেলেছে।
গত বুধবার ভোরে কাঁসাই নদীর জল ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার অধিকাংশ বই। কিছু বই বাঁচাতে পেরেছে সে, তবে বাকি বই জলস্রোতে ভেসে কোথায় গিয়েছে, তার জানা নেই। বই না থাকার যন্ত্রণায় ক্রমশ দুশ্চিন্তা গ্রাস করছে শিউলিকে।
শিউলির বক্তব্য, বেশ কয়েকদিন ধরে কাঁসাই নদীর জলস্তর বাড়ায় তার পরিবার দুশ্চিন্তায় ছিল। বই এবং পড়াশোনার উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় কীভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করবে, সেটা এখনও তার কাছে সবচেয়ে বড় চিন্তার। প্রশাসনের কাছে আবেদন করছে সে, যাতে সাহায্য করা হয়।
শুধু শিউলি নয় এই এলাকার আরও এক স্কুলছাত্রী অঙ্কিতা দাসেরও একই অবস্থা। বন্যার জল ভাসিয়ে নিয়ে গেছে তারও বইপত্র। পড়াশোনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে অঙ্কিতা।