মারিশদা: এলাকাবাসীর ক্ষোভ ছিল কাজ নিয়ে। ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের কাছে। আবাস যোজনা, জলের সংযোগ না পেয়ে প্রধান-উপপ্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। শেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশেই পদত্যাগ করেন পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) মারিশদা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৎকালীন প্রধান ঝুনুরানি মণ্ডল, উপপ্রধান রামকৃষ্ণ মণ্ডল ও অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্র। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল জেলার রাজনৈতিক মহলে। এদিকে এদের মধ্যে ঝুনুরানি মণ্ডল, গৌতম মিশ্র আবার এবারের পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীও হন। দল থেকে টিকিট না পাওয়ায় নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন। যা নিয়েও বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল। এবার ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা গেল ৬২ ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে জিতে গিয়েছেন ঝুনুরানি দেবী। তবে হারতে হয়েছে গৌতমকে।
সূত্রের খবর, মারিশদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫ পার্টে পাকা আম প্রতীক নিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন ঝুনুরানি মণ্ডল। ফল প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে তিনি পেয়েছেন ৫৩৩ ভোট। অন্যদিকে তাঁর বিপক্ষে ছিলেন বিজেপির রাজলক্ষ্মী মণ্ডল। তিনি পেয়েছেন ৪৬৩ ভোট। ছিলেন সিপিএমের মমতারানি মণ্ডল। পেয়েছেন ৫৫ ভোট। প্রসঙ্গত, এই বুথে আবার তৃণমূলের কোনও প্রার্থী ছিল না। অনেকেই বলছেন, দলের টিকিট না পেলেও দলের ভোট পেয়েছেন ঝুনুরানি। তাতেই সহজ হয়েছে জয়ের রাস্তা। যদিও প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কার্যত কোনও কথাই বলতে চাননি তিনি। সাফ বলেন, “আমি কোন কথা বলতে চাই না। আমাকে বিব্রত করবেন না।”
অন্যদিকে প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্র আবার লড়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির ১৬ নম্বর আসনে। দুটি পাতা, একটি কুঁড়ি প্রতীকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়েছেন তিনি। কিন্তু, ওই আসনে বিজেপি প্রার্থী রাজশেখর মণ্ডলের কাছে ২৪০ ভোটে হেরে গিয়েছেন তিনি। গৌতম মিশ্রের প্রাপ্ত ভোট ১৯০০। সেখানে রাজশেখর মণ্ডলের প্রাপ্ত ভোট ২১৬০। লড়েছিলেন সিপিআইএম প্রার্থী অঞ্জন কুমার মাহাতো। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১৫৩।