নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রাম দুই নম্বর ব্লক তৃণমূলের দায়িত্ব থেকে সরানো হল অরুণাভ ভুঁইঞাকে। তাঁর জায়গায় আনা হচ্ছে তবে নাড়ুগোপাল জানা নামে একজন বর্ষীয়ান নেতাকে। ওই ব্লকে এর আগেও তিনি অঞ্চল কমিটির দায়িত্বে ছিলেন বলে জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র জানিয়েছেন। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি হিসেবে বাপ্পাদিত্য গর্গ ও ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি হিসেবে অরুণাভ ভুঁইঞার মনোনীত করেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, এই অরুণাভ হলেন র পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি শেখ সুফিয়ানের বিরুদ্ধ লবি। অরুণাভ ভুঁইঞার নাম ঘোষণার হওয়ার পরই নন্দীগ্রামে তৃণমূল কর্মীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন নন্দীগ্রাম ২ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষও। বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ ছিল, তাঁদের সঙ্গে কোনও রকমের আলোচনা না করেই অরুণাভ ভুঁইঞাকে ব্লকের সভাপতি করা হয়েছে। তাঁরা এক সপ্তাহের মধ্যেই সভাপতি বদলের দাবি জানিয়েছিলেন। তা অবশ্য বাস্তবায়িত হয়নি। কিন্তু ১০ মাসের মধ্যেই ফের বদল করে দেওয়া হল ২ নম্বর ব্লকের সভাপতিকে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, তার কারণ হতে পারে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল।
২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও নন্দীগ্রামে দেখা গিয়েছে শুভেন্দু ম্যাজিক। তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে জিতেছে বিজেপি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ২২৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূলের দখলে গিয়েছে ৪৪ টি ও বিজেপির দখলে গিয়েছে ১৮টি। পূর্ব মেদিনীপুরে মোট গ্রাম পঞ্চায়েত আসন ৪২৯০টি।
নির্বাচনের আগে থেকেই নন্দীগ্রাম থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করার ডাক দিয়েছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে শাসকদল তৃণমূলকে বেশ কিছুটা পিছনে ফেলে প্রথম স্থানে রয়েছে পদ্মশিবিরে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছে, হতে পারে তারই কোপ পড়েছে ব্লকের সভাপতির ওপর।