Goutam Pal: ‘প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা নিয়ে রাজ্য যা করছে, তা দেশে বিরল’, দাবি পর্ষদের চেয়ারম্যানের

Kanishka Maity | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Feb 12, 2023 | 11:48 AM

Goutam Pal: রাজ্যবাসী হিসেবে এবং প্রশাসনের একটি অফিসের প্রধান হিসেবে আমি মনে করি, রাজ্যের মিড-ডে মিল থেকে গোটা শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষারমান অত্যন্ত উচ্চশ্রেণির।

Goutam Pal: প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা নিয়ে রাজ্য যা করছে, তা দেশে বিরল, দাবি পর্ষদের চেয়ারম্যানের
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান গৌতম পাল

Follow Us

পূর্ব মেদিনীপুর: উৎকর্ষতার নিরিখে দেশের শীর্ষে রয়েছে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্র, দাবি করেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান গৌতম পাল (Goutam Pal)। শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা নিয়ে সর্বোচ্চস্তরীয় যে ব্যবস্থা আমরা নিতে পেরেছি রাজ্য, প্রশাসনের দ্বারা সেটা গোটা ভারতের নিরিখে বিরল।” শনিবার কাঁথির অরবিন্দ স্টেডিয়ামে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গৌতম। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের (WB Primary TET ) ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগ বিচারাধীন। তা এখনও প্রামাণিত হয়নি। আর ২০২২- এর টেট নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ থাকলে আমাকে জানান। প্ৰমাণ করুন দুর্নীতি হয়েছে। তাহলে আমি বলব, হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “পশ্চিমবাংলার পুরো শিক্ষাক্রম, সবক্ষেত্রে, সব পেশায় গোটা পৃথিবীব্যাপী ভালো মানুষ আছে। ১- ২ শতাংশ কিছু ব্যতিক্রমী মানুষ আছেন। শুধু ভারতে কিংবা পশ্চিমবাংলায় নয়, গোটা পৃথিবীতে রয়েছেন। বরং পশ্চিমবাংলায় কম ব্যতিক্রমী মানুষের সংখ্যা। সেই ব্যতিক্রমী ঘটনার উল্লেখ করে হইহই রব ফেলে দেওয়া হচ্ছে। আমি তার বিরোধিতা করছি।”

রাজ্যবাসী হিসেবে এবং প্রশাসনের একটি অফিসের প্রধান হিসেবে আমি মনে করি, রাজ্যের মিড-ডে মিল থেকে গোটা শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষারমান অত্যন্ত উচ্চশ্রেণির। উৎকর্ষতার নিরিখে যা গোটা ভারতের শীর্ষে রয়েছে।” দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এ রাজ্যে মিড-ডে মেলের খাবারের মান অত্যন্ত উচ্চ শ্রেণির জানিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যের মিড-ডে মিলে সুষম খাদ্যের বন্টনের কথা স্বীকার করে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।”

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই টেট ২০২২-এর (WB Primary TET 2022) ফলপ্রকাশ হয়েছে। প্রায় দেড় লক্ষ জন পাশ করেছেন। টেট পাশ করলেও নানা জটিলতায় ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এর আগে ২০১২, ২০১৪, ২০১৭ সালের নিয়োগসংক্রান্ত একাধিক মামলা ঝুলে রয়েছে। সেইসব মামলারও নিষ্পত্তি হতে হবে। তাঁরা চাকরি পাবেন আগে। তারপর তো ২০২২-এর নিয়োগ। শিক্ষা আধিকারিকদেরই বক্তব্য, বিষয়টি সময়সাপেক্ষ।

Next Article