হলদিয়া : হলদিয়া উপকূলের জেলায় একমাত্র শিল্পাঞ্চল এলাকা হল শিল্প নগরী হলদিয়া। সেই শিল্প শহরে রয়েছে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। খুব বড় আকার নিয়েছে বন্দরের কয়লা দুর্নীতি। হলদিয়ার পরিবহন ব্যাবসায়ী মুবারক আলির অভিযোগের ভিত্তিতে হলদিয়া থানার পুলিশ একটি মামলা রুজু করে ২০২১ সালে। ইতিমধ্যেই দুর্নীতির ওই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আর সেই মামলা নিয়েই এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে পুলিশ।
২০২১ সালের ১২ জুলাই ওই মামলা হয়। তৎকালীন হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শ্যামল আদক। পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ ছিল এই মামলায়। তদন্তে নেমে শ্যামল অনুগামী রাজীব পাল সহ দুজন কে ধরে পুলিশ। এরপরই নড়েচড়ে বসেন শ্যামল বাবু।
এই শ্যামল আদক রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলেই জানা গিয়েছে। হলদিয়া থানার তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন শ্যামল বাবু। সঠিক তদন্ত হোক এমন আবেদন জানান তিনি, পাশাপাশি রক্ষাকবচের দাবিও করেন। সেই আর্জিতে সায় দেয় আদালত।
কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর তদন্ত করতে আসরে নামে সিবিআই। হলদিয়া থানার কাছ থেকে মামলা সংক্রান্ত নথিপত্র চান সিবিআই আধিকারিকরা। পাশাপাশি শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা সেক মোবারক আলির সঙ্গে কথাবার্তা বলতে হলদিয়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তালপুকুর এলাকায় ওনার বাড়িতেও হাজির হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলটি। কিন্তু কোথায় মোবারক? পরপর দু’দিন গিয়েও খোঁজ মেলেনি মোবারকের। তারপর হলদিয়ার সম্ভাব্য এলাকাতেই খোঁজ করেন তাঁরা। কিন্তু রাতারাতি যেন উধাও হয়ে গিয়েছেন মোবারক আলি।
হলদিয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাহুল পান্ডে জানান, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ২৫ কোটি টাকা হলদিয়া বন্দরে কারচুপি হয়েছে। অভিযোগ আসার পরে বিভিন্ন দফতরে তদন্ত করা হয়েছে। এই মামলায় অভিযোগের ভিত্তিতে প্রায় ৪০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে সমস্ত নথি এবং তদন্তের কপি সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এবার কলকাতা হাই কোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্য।
আরও পড়ুন : Dilip Ghosh on Jayprakash: বিক্ষুব্ধরাও শেষ মুহূর্তে জানতেন না! ‘কিছু যায় আসে না’, বলে দাবি দিলীপের