Digha-Mandarmani: জমাটি আসর, একজন, দু’জন নয়, একেবারে ১৬ জন যুবতী, কী চলছিল মন্দারমনি-দিঘার হোটেলে?
Digha-Mandarmani: যে সমস্ত যুবতীদের উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের প্রত্যেকেই বাংলার নানা প্রান্ত থেকে রামনগরে আনা হয়েছিল বলে খবর। কারও বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, দার্জিলিংয়ে। কারও বাড়ি ক্যানিং, বর্ধমানে। আরও আবার পূর্ব মেদিনীপুরেই।
রামনগর: সামনেই বড়দিন, তারপরেই শুরু হয়ে যাবে বর্ষবরণের উদযাপন। কিন্তু, সেইভাবে এখনও দিঘা-মন্দারমনি তে পর্যটকদের পা না পড়ায় হতাশ হোটেল ব্যবসায়ীরা। এরইমধ্যে আলাদা করে নজর কাড়ছে রামনগর (Ramnagar)। অভিযোগ, সাম্প্রতিককালে এলাকায় মধুচক্রের কারবারিদের দৌরাত্ম্য অনেক বেড়ে গিয়েছে। উৎসবের আবহেই এলাকায় হানা দিয়ে বড়সড় মধুচক্রের পর্দাফাঁস করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। হোটেলের দুই লিজ মালিক-সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে মন্দারমনি উপকূল থানার পুলিশ। আটক করা হয়েছে ১৬ যুবতীকেও। ঘটনায় জোর শোরগোল এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, হোটেলের যে দুই লিজ মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের বাড়ি মন্দারমনি র ডেরা গ্রামে। নাম সমীর প্রধান ও সোমনাথ প্রধান। বাকিরা সুবেড়িয়ার গ্রামের মির্জা সাত্তার বেগ, জুনপুট উপকূল থানার ছোট বানতলিয়া গ্রামের কার্তিক জানা, কাঁথির মহিষাগোটের শুভঙ্কর গিরি ও মহিষামুণ্ডা গ্রামের শুভময় পণ্ডা ও পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে তারক মাঝি। প্রত্যেকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে যে সমস্ত যুবতীদের উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের প্রত্যেকেই বাংলার নানা প্রান্ত থেকে রামনগরে আনা হয়েছিল বলে খবর। কারও বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, দার্জিলিংয়ে। কারও বাড়ি ক্যানিং, বর্ধমানে। আরও আবার পূর্ব মেদিনীপুরেই। এদিনই অভিযুক্তদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। জামিনের আবেদন করলেও আদালত তা নাকচ করে তিনদিনের পুলিশ হেজাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে ১৬ জন যুবতীকে হোমে পাঠানোর নির্দেশ এসেছে আদালতের তরফে।
অভিযোগ, উৎসবের মরসুম এলেই এলাকার কিছু অসাধু হোটেল ব্যবসায়ী বাইরে থেকে যুবতীদের নিয়ে এসে দেহ ব্যবসা শুরু করে দিচ্ছে। মোটা টাকার বিনিময়ে বেড়াতে আসা পর্যটকদের টোপও দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের রুখতে বিগত কয়েক মাসে সক্রিয়তা বাড়িয়েছে পুলিশ। এদিনও গোপন সূত্রে খবর পেয়েই ওই হোটেলে হানা দিয়েছিল পুলিশ।