Digha: ওড়িশা থেকে আসা মানুষদের ধরপাকড় চলছে দিঘায়! কারণ কী?
Purba Medinipur: এদিন ওড়িশা ও দিঘা বর্ডারে শুরু হয় পুলিশি ধরপাকড়। যাঁরা ওড়িশা থেকে এ রাজ্যে প্রবেশ করছেন, তাঁদের অ্যান্টিজেন টেস্ট করে তবেই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
দিঘা: পর্যটকশূন্য দিঘা (Digha) এখন খাঁ-খাঁ করছে। বন্ধ পর্যটেনকেন্দ্র। যদিও করোনা আবহে হোটেলের থাকার ছাড়পত্র রয়েছে। কিন্তু বেড়াতে এসে কে আর হোটেলবন্দি থাকবেন! এদিকে ভিন রাজ্য থেকে আগত মানুষদের জন্য রয়েছে বিশেষ নির্দেশ। আন্তঃরাজ্য সীমানায় প্রবেশে করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার পুলিশি ধরপাকড় শুরু হল দিঘার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে।
সরকারি নির্দেশ রয়েছে ভিন রাজ্য বা বিদেশ থেকে এলেই কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে। এবার সেই নিয়মে বলবৎ শুরু হল উপকূলের জেলা সীমান্ত এলাকায়। আন্তঃরাজ্য সীমানায় প্রবেশের ক্ষেত্রে আরটিপিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার থেকেই তাই অত্যন্ত সক্রিয় হতে দেখা গেল দিঘা পুলিশকে। ওড়িশা সীমান্ত দিয়ে ঢোকা ব্যক্তিদের শুরু হল ধরপাকড়।
এদিন ওড়িশা ও দিঘা বর্ডারে শুরু হয় পুলিশি ধরপাকড়। যাঁরা ওড়িশা থেকে এ রাজ্যে প্রবেশ করছেন, তাঁদের অ্যান্টিজেন টেস্ট করে তবেই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় সেই সমস্ত লোকজনকে আবার ফেরত পাঠানো হচ্ছে সীমান্তের ওপারে। সেই ছবি দেখা গেল এদিন।
আবার মুখে মাস্ক পরা নিয়ে এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে উদাসীনতা রয়েইছে। মুখে মাস্ক না থাকলেই আটকাচ্ছে পুলিশ। হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার। করোনা সংক্রমণ রুখতে মাস্ক ব্যবহার এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে সচেতনতামূলক প্রচারও চালাচ্ছে প্রশাসন।
উল্লেখ্য, রাজ্যে উর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ। হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সংক্রমণের চিত্র একেবারেই স্বস্তিদায়ক নয়। সোমবার ১ হাজার ৬২৫ জন করোনা আক্রান্ত হাওড়ায়। হুগলিতে দৈনিক সংক্রমণ ৯৩৪, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১২৫৫। উল্লেখযোগ্য ভাবে সংক্রমণ বেড়েছে দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, দক্ষিণ দিনাজপুরে। এই তালিকার বাইরে নেই উপকূলের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরও। সোমবার সরকারি বুলেটিনে বলা হচ্ছে শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৯২ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৬৬ জন। আবার কোভিডে মারাও গিয়েছেন এক ব্যক্তি। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে জেলা প্রশাসনকে।
এদিকে গত সাতদিন যে সমস্ত জেলায় করোনা সংক্রমণ বেড়েছে, সেখানে আরও কড়াকড়ির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নির্দেশ, করোনা কেস যেখানে বেশি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত নজরদারি করতে হবে প্রশাসনকে।
আরও পড়ুন: Asansole Municipal Election: ফের পুলিশি বাধা মিছিলে, রাস্তায় বসে পড়ে দিলীপ বললেন, ‘আমি আর কী করব?’