নন্দীগ্রাম: একাধারে তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত। আবার সেই ব্যক্তিই সিভিক ভলান্টিয়ার। আর সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম ছাত্র পরিষদের তালিকায় থাকায় নন্দীগ্রামে চরম অস্বস্তিতে শাসক শিবির।
২৮ জুলাই প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে টিএমসিপি। তাতে জেলার বেশ কয়েকটি ব্লকের কনভেনর বা আহ্বায়কের নাম ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্যের পক্ষে। তেমনি একটি তালিকায় দু’জনের নাম রয়েছে। একজন হলেন শেখ আসিফ ইকবাল কাজী অপরজন মোশারফ হোসেন।
আসিফ ইকবাল কাজী হলেন নন্দীগ্রাম থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। আর এই ঘটনা ভাইরাল হতেই অস্বস্তিতে তৃণমূল। যদিও, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান পীযূষ ভূঁইঞা বলেন, “তৃণমূল ছাত্র পরিষদে সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছে এটা আমার জানা নেই। তবে ছাত্র পরিষদ এবং তার কমিটিকে স্বাধীনভাবে নির্বাচন করে রাজ্য কমিটি।”
একজন সিভিক ভলান্টিয়ার কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক হতে পারেন এই নিয়ে সরব বিরোধীরা। নন্দীগ্রাম অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ, নন্দীগ্রাম নগর ইউনিটের সভাপতি সায়ন পন্ডা বলেন, “ওই সিভিক কর্মী প্রশাসনিক কাজে যুক্ত রয়েছেন। কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক কমিটিতে প্রশাসনিক কাজে যুক্ত ব্যক্তিরা থাকতে পারেন?”
উল্লেখ্য, এর আগে বহুবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে, তৃণমূলের প্রধান শক্তি পুলিশ। আর নন্দীগ্রামের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও, শেখ আসিফ ইকবাল কাজীর তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
নন্দীগ্রাম থানার এক পুলিশ আধিকারিক সূত্রে খবর, তিনি সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসেবে এখনও কাজ করছেন। কোনও রকম পদত্যাগপত্র তার কাছ থেকে থানায় এখনো জমা পড়েনি।