Petrol pump: তেল সরবরাহ বন্ধের নোটিস একাধিক পেট্রল পাম্পে, লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে বাইক-চারচাকা

Kanishka Maity | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jan 03, 2024 | 1:37 PM

Petrol Pump: জানা যাচ্ছে, রাজ্যের একাধিক পেট্রল পাম্প ড্রাই হয়েছে। চালকদের বাধায় দুর্গাপুর, আসানসোল,হলদিয়া,পশ্চিম মেদিনীপুরের সর্বত্রই ইন্ডিয়ান অয়েল,এইচপিসিএল, বিপিসিএল-এ একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

Petrol pump: তেল সরবরাহ বন্ধের নোটিস একাধিক পেট্রল পাম্পে, লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে বাইক-চারচাকা
লম্বা লাইন পেট্রল পাম্পের বাইরে
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

হলদিয়া: কেন্দ্রীয় আইনের প্রতিবাদে ট্রাক চালকদের বিক্ষোভ। বাদ যায়নি হলদিয়াও। পেট্রোল-ডিজেলের সরবরাহ ঘিরে চূড়ান্ত অচলাবস্থার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরের বহু পাম্পে পড়ল তেল সরবরাহ বন্ধের নোটিস।

কেন্দ্রীয় আইনের প্রতিবাদে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে শুরু হয়েছে ট্রাক চালকদের ধর্মঘট। ইতিমধ্যেই হলদিয়ার গ্যাস রিফিলিং সংস্থা ‘আইপিপিএল’ সহ ‘ইন্ডিয়ান অয়েল’ এবং অন্যান্য সংস্থাতেই ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভের আঁচ। এর জেরে রান্নার গ্যাসের সরবরাহও যথেষ্ট অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে বলে খবর মিলছে।

সোমবারের পর মঙ্গলবার হলদিয়ার ‘আইপিপিএল’-এ গ্যাসের সিলিন্ডার ভর্তি গাড়ি নিয়ে যেতে রাজি হননি ট্রাক চালকরা। পুলিশ নামিয়ে পরিস্থিতি সামালের চেষ্টা করলেও ক্রমেই অবস্থা বেশ জটিল হয়ে উঠছে বলেই সূত্রের খবর। যদিও পুলিশের শক্তি প্রদর্শন তেমন ভাবে প্রকাশ্যে নজর আসেনি। পুলিশের চাপে পড়ে অনেক গাড়ি এলপিজি গ্যাস লোডিং করলেও তারা গাড়িগুলিকে আর রাস্তায় ছোটাতে সাহস পাচ্ছেন না।

জানা যাচ্ছে, রাজ্যের একাধিক পেট্রল পাম্প ড্রাই হয়েছে। চালকদের বাধায় দুর্গাপুর, আসানসোল,হলদিয়া,পশ্চিম মেদিনীপুরের সর্বত্রই ইন্ডিয়ান অয়েল,এইচপিসিএল, বিপিসিএল-এ একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হলদিয়ায় এই মুহূর্তে কোনও সংগঠন জোটবদ্ধ ভাবে আন্দোলনে সামিল না হলেও বিভিন্ন সংস্থার ট্রাক চালকরা একজোট হয়ে এই আন্দোলনে পা মিলিয়েছেন বলে খবর।

এ দিকে, জেলায় ইতিমধ্যে একাধিক পেট্রল পাম্পে গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে কাঁথি,দিঘা,এগরা,নন্দীগ্রাম,খেজুরি, নন্দকুমার এলাকার এক একটি পেট্রল পাম্পে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আতঙ্কিত চার চাকা ও বাইক চালকরা। জেলার বহু পেট্রল পাম্পে তেল ড্রাই বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক বাইক আরোহী বলেন, “পেট্রল পাচ্ছি না। সাময়িক ভাবে বন্ধ বলছে। এই সব ধর্মঘটের জন্য আমাদের মতো সাধারণ মানুষের খুবই অসুবিধা হবে।”

নতুন বছরের শুরু থেকেই বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন ট্রাকচালকরা। ‘হিট অ্যান্ড রান’-র ক্ষেত্রে কেন্দ্রের সংশোধিত আইনে সর্বোচ্চ সাজা ২ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করতেই বিক্ষোভে পথে নামেন ট্রাকচালকরা। হাইওয়েতে পড়ে যায় ট্রাকের লম্বা লাইন। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে কেন্দ্রীয় সরকার নামতেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে অনুমান। বস্তুত, সংশোধিত ‘হিট অ্যান্ড রান’ আইন নিয়ে কেন্দ্রের আশ্বাসের পরই বিক্ষোভ তুলে নেন ট্রাকচালকরা। কেন্দ্রের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লার আশ্বাসের পরই ‘অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেসের’ তরফে বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার ঘোষণা করা হয়। তবে জেলার ক্ষেত্রে অবস্থা বিন্দুমাত্র বদলায়নি। এখনও তেল না পেয়ে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

Next Article