Subal Manna: ‘গুরুদেব’ ডাকেই যাচ্ছে পদ, কাঁথির পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ১৬ কাউন্সিলরের

Kanishka Maity | Edited By: জয়দীপ দাস

Jan 02, 2024 | 7:04 PM

Subal Manna: এদিনও সুবলকে পৌরসভায় আসতে দেখা যায়। সূত্রের খবর, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনস্থা নিয়ে তিনি শীঘ্রই আইনি পথেও হাঁটতে পারেন। প্রসঙ্গত, শিশির বিতর্কের মধ্যেই সুবলকে পদত্যাগের নির্দেশ দেয় তৃণমূল। কিন্তু, তিনি যাচ্ছিলেন পুরসভায়। তারপরেই আসে অনাস্থা প্রস্তাব।

Follow Us

কাঁথি: কাঁথিতে দলেরই পুরপ্রধান সুবল মান্নার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল তৃণমূল। আগেই চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিতে বলার পরেও তাঁকে পৌরসভায় যেতে দেখা যায়। তা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। দল যে বড় কিছু একটা পদক্ষেপ করতে পারে সেই সম্ভাবনাও জোরালো হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত রাজ্য ও জেলা সভাপতির সম্মতিতে সুবল মান্নার বিরুদ্ধে ১৬ জন তৃণমূল কাউন্সিলর অনাস্থা আনেন। এদিনই তা জমা করা হল কাঁথি পুরসভায়।

প্রসঙ্গত, শিশির অধিকারীকে প্রণাম করে ‘গুরুদেব’ বলে সম্বোধন করে গত বছরের শেষেই ফাঁপরে পড়তে দেখা যায় কাঁথির পুরপ্রধান সুবল মান্নাকে। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই চলছিল চাপানউতোর। অনাস্থা আনতে পারেন দলেরই ১৬ কাউন্সিলর। সে কথা আগেই শোনা গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার ১৬ কাউন্সিলরের সই করা সেই অনাস্থাপত্র জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। 

তবে এদিনও সুবলকে পৌরসভায় আসতে দেখা যায়। সূত্রের খবর, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা নিয়ে তিনি শীঘ্রই আইনি পথেও হাঁটতে পারেন। প্রসঙ্গত, শিশির বিতর্কের মধ্যেই সুবলকে পদত্যাগের নির্দেশ দেয় তৃণমূল। কিন্তু, তিনি যাচ্ছিলেন পুরসভায়। তারপরেই আসে অনাস্থা প্রস্তাব। কারামন্ত্রী অখিল গিরি বলছেন, “আগে তো অধিকারী পরিবারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। অনেকদিন কাজকর্ম করেছে। অধিকারী পরিবারের মদত পাচ্ছে। এখনও বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। হাইকমান্ড বলে দেওয়ার পরেও তো পদত্যাগ করেনি। আমি শুনেছি ও কয়েকদিন আগে বিজেপির কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথাও বলেছে।” তবে খোঁচা দিতে ছাড়েনি পদ্ম শিবির। বিজেপি নেতা অরূপ কুমার দাস বলছেন, “পদ নিয়ে একদল হায়নার মাংস নিয়ে লোফালুফির মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে। একদল ক্ষুধার্থ হায়না যেন এখন চেয়ারম্যানের পদটার দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।”

তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে পুরপ্রধান সুবল মান্না বলেন, “আমার কাজ হচ্ছে সমস্ত কাউন্সিলরদের আগলে রাখা। প্রণাম করার জন্য যদি দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, সেটা জনগণ বলবে। আমি এ বিষয়ে বেশি কিছু মন্তব্য করব না। এটা প্রশাসনিক পদ, যা কিছু হবে কাগজের মাধ্যমে। একলব্য আঙুল কেটে গুরুদক্ষিণা দিয়েছিল। দলের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে চিঠি লিখেছি। জনগণ দেখেছে, চল্লিশ বছর ধরে। আমার কোনটা ভুল, কোনটা ঠিক সেটা জনগণই বলবে। পরবর্তী পদক্ষেপ যা আছে তা হবে।” অনাস্থার ভোটাভুটি নিয়ে তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য, “যেদিন হবে, সেদিন বুঝতে পারবেন।”

কাঁথি: কাঁথিতে দলেরই পুরপ্রধান সুবল মান্নার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল তৃণমূল। আগেই চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিতে বলার পরেও তাঁকে পৌরসভায় যেতে দেখা যায়। তা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। দল যে বড় কিছু একটা পদক্ষেপ করতে পারে সেই সম্ভাবনাও জোরালো হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত রাজ্য ও জেলা সভাপতির সম্মতিতে সুবল মান্নার বিরুদ্ধে ১৬ জন তৃণমূল কাউন্সিলর অনাস্থা আনেন। এদিনই তা জমা করা হল কাঁথি পুরসভায়।

প্রসঙ্গত, শিশির অধিকারীকে প্রণাম করে ‘গুরুদেব’ বলে সম্বোধন করে গত বছরের শেষেই ফাঁপরে পড়তে দেখা যায় কাঁথির পুরপ্রধান সুবল মান্নাকে। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই চলছিল চাপানউতোর। অনাস্থা আনতে পারেন দলেরই ১৬ কাউন্সিলর। সে কথা আগেই শোনা গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার ১৬ কাউন্সিলরের সই করা সেই অনাস্থাপত্র জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। 

তবে এদিনও সুবলকে পৌরসভায় আসতে দেখা যায়। সূত্রের খবর, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা নিয়ে তিনি শীঘ্রই আইনি পথেও হাঁটতে পারেন। প্রসঙ্গত, শিশির বিতর্কের মধ্যেই সুবলকে পদত্যাগের নির্দেশ দেয় তৃণমূল। কিন্তু, তিনি যাচ্ছিলেন পুরসভায়। তারপরেই আসে অনাস্থা প্রস্তাব। কারামন্ত্রী অখিল গিরি বলছেন, “আগে তো অধিকারী পরিবারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। অনেকদিন কাজকর্ম করেছে। অধিকারী পরিবারের মদত পাচ্ছে। এখনও বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। হাইকমান্ড বলে দেওয়ার পরেও তো পদত্যাগ করেনি। আমি শুনেছি ও কয়েকদিন আগে বিজেপির কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথাও বলেছে।” তবে খোঁচা দিতে ছাড়েনি পদ্ম শিবির। বিজেপি নেতা অরূপ কুমার দাস বলছেন, “পদ নিয়ে একদল হায়নার মাংস নিয়ে লোফালুফির মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে। একদল ক্ষুধার্থ হায়না যেন এখন চেয়ারম্যানের পদটার দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।”

তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে পুরপ্রধান সুবল মান্না বলেন, “আমার কাজ হচ্ছে সমস্ত কাউন্সিলরদের আগলে রাখা। প্রণাম করার জন্য যদি দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, সেটা জনগণ বলবে। আমি এ বিষয়ে বেশি কিছু মন্তব্য করব না। এটা প্রশাসনিক পদ, যা কিছু হবে কাগজের মাধ্যমে। একলব্য আঙুল কেটে গুরুদক্ষিণা দিয়েছিল। দলের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে চিঠি লিখেছি। জনগণ দেখেছে, চল্লিশ বছর ধরে। আমার কোনটা ভুল, কোনটা ঠিক সেটা জনগণই বলবে। পরবর্তী পদক্ষেপ যা আছে তা হবে।” অনাস্থার ভোটাভুটি নিয়ে তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য, “যেদিন হবে, সেদিন বুঝতে পারবেন।”

Next Article