নন্দীগ্রাম: একদিকে, পুলিশ প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, মঞ্চে দাঁড়িয়ে কার্যত পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গেল কুণাল ঘোষকে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গকে সম্প্রতি মারধরের ঘটনায় পুলিশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। নন্দীগ্রামের সেই সভায় হাজির হয়েই পুলিশের ভূমিকা, রাজনৈতিক যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর সেই মন্তব্য ঘিরেই পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধীরা।
সাম্প্রতিক বেশ কিছু ঘটনায় পুলিশের কাজ ও ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিকে বৈঠকে। তিনি বলেছেন, টাকা খেয়ে চুরি করে পুলিশের একাংশ। আর কুণাল ঘোষের দাবি, পুলিশের অন্দরে থেকে সিপিএমের হয়ে কাজ করছে একাংশের অফিসার।
নন্দীগ্রামের সভা থেকে বলেছেন, “চারদিকে প্রশ্ন উঠছে, পুলিশ এটা কেন পুলিশ করছে না, ওটা কেন করছে না। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, এদের অধিকাংশ হচ্ছে আগের সিপিএম। ওরা মনে প্রাণে চায় সরকারের ক্ষতি হোক। ভিতরে থেকে অন্তর্ঘাত করছে। সিপিএম-কে খুঁজে না পেয়ে বিজেপিকে মদত দিচ্ছে।” এরপরই পুলিশকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “প্রশাসনের মধ্যে থেকে দালালি করবেন? ব্যাগ গুছিয়ে রেখে দিন। সুন্দরবন বা কোচবিহার যেতে হবে, কাছাকাছি কোথাও হবে না।”
কুণালের এই মন্তব্য থ্রেট কালচারের সমান বলে মনে করছেন বিরোধীরা। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “এটা হচ্ছে থ্রেট কালচার। যে পুলিশের মাথা থেকে পা পর্যন্ত চোর। তাদেরকেই আবার থ্রেট কালচারের মুখে পড়তে হচ্ছে।” অন্যদিকে সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষের বক্তব্য, বাংলার পুলিশ কার দালালি করে, তা সব মানুষ জানে। তিনি বলেন, পুলিশ কমিশনার পুজোয় খিচুড়ি বিতরণ করেন। বুথ দখল থেকে শুরু করে হুমকি, এসব কাজ তৃণমূল নেতার থেকে বেশি পুলিশই করে।