পূর্ব মেদিনীপুর: জেলায় যাচ্ছেন মুখ্য়মন্ত্রী। আর তার সভায় জমায়েতের দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছেন খোদ প্রশাসনিক আধিকারিক। বিডিও খুলেছেন হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ! আর সেই গ্রুপে লোক ভরানোর নির্দেশ। ভয়ঙ্কর অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। অভিযোগের নেপথ্যে খাঁড়া করা হল হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ নির্দেশ দেওয়ার সেই স্ক্রিন শটও। তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য, জেলা প্রশাসনের কোনও লক্ষ্যমাত্রা নেই।
আগামী ৪ মার্চ পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের নিমতৌড়িতে জেলা পরিষদের পার্শ্ববর্তী মাঠে প্রশাসনিক বৈঠকে যাবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুকে বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে পথশ্রী তিন প্রকল্পের প্রায় দেড় হাজার রাস্তার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।বেশ কিছু স্বাস্থ্য কেন্দ্র উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ব্রিজ উদ্বোধন করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর,প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল প্রশাসনকে দলের কাজে ব্যবহার করছে। শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিডিওর একটি গ্রুপ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে এসএইজি গ্রুপের যে সংঘ রয়েছে সেই সংঘগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রত্যেকটি অঞ্চল থেকে পাঁচটি করে বাসে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান ময়দান ভরাতে নিয়ে যেতে হবে। জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা বামদেব গুছাইতের বক্তব্য, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তমলুকে আসছেন। সাধারণ মানুষ তাঁর সভায় যেতে চাইছেন না। তিনি তাঁর প্রশাসনিক আধিকারিককে সামনে রেখে সভা ভরতে চান। আমাদের জেলার ডিএম তাঁর অধঃস্তনদের দিয়ে নির্দেশ দিচ্ছেন। বাধ্য করছেন বাস করে গাড়িতে করে লোক এনে মাঠ ভরাতে হবে।”
বিজেপির অভিযোগ, ১০টি ব্লক থেকে ৪২৬ টি বাসে ২১,৩০০ লোককে নিয়ে যেতে হবে এমনটাই টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা পরিষদের সভাপতি উত্তম বারিক বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সভা হবে প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায়, প্রশাসনিক কাজে যাঁরা যুক্ত রয়েছেন, তাঁরা আসবেন। তাঁরা স্বাস্থ্যকর্ম হতে পারেন, আশা কর্মী হতে পারেন, উৎসাহী কর্মী হতে পারেন।” তাঁর বক্তব্য, জেলা প্রশাসনের কোনও লক্ষ্যমাত্রা নেই ,৫০ হাজার হতে পারে, ১ লক্ষও হতে পারে।