দিঘা: আবারও মৃত্যু দিঘায়। সমুদ্রে স্নান করতে নেমে অসাবধানবসত জলে ডুবে মৃত্যু এক ব্যক্তির। পর্যটকের অসাবধনতা নাকি নজরদারির গাফিলতি উঠছে প্রশ্ন।
জানা গিয়েছে, রবিবার বারাসত থেকে একদল পর্যটক দিঘায় বেড়াতে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন রতন সামন্ত (৩৫) ও তাঁর স্ত্রী রিংঙ্কি সামন্ত ও পাঁচ বছরের সন্তান। ওল্ড দিঘার জগন্নাথ ঘাটের কাছে সমুদ্রে স্নান করছিলেন রতনবাবু ও তাঁর স্ত্রী। স্নান করতে-করতে এত দূর পর্যন্ত চলে যান যে তাঁদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরে খোঁজ খবর শুরু করলে রতনবাবুর স্ত্রীকে উদ্ধার করতে পারলেও রতনবাবুকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর সমুদ্রে পুলিশ-প্রশাসন, লুনিয়াদের নজরদারি ও স্পিড বোর্ড নামানো হয়। ভাটার সময় খোঁজ না পেলেও জোয়ারের সময় রতনের মৃতদেহ ভেসে আসে। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে তাঁকে দিঘা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বস্তুত, রতনবাবুর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে। স্ত্রী এবং সন্তান সহ ৫৪ জন একটি বাসে করে দিঘায় ঘুরতে আসেন। আর আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই এমন মর্মান্তিক ঘটনায় শোকার্ত পরিবার সহ আত্মীয় বন্ধু বান্ধব সকলেই। ওই ট্যুরে ঘুরতে আসা এক পর্যটক জানান, ‘ওনার স্ত্রী এবং উনি স্নান করছিলেন। স্নান করতে-করতে হঠাৎ জলে চলে গিয়েছে। আমরা শত চেষ্টা করেও উদ্ধার করতে পারলাম না। ২৫ তারিখ বাসে করে হাবড়া থেকে দিঘায় ঘুরতে আসি। রতনবাবুর সঙ্গে ছিলেন ওনার স্ত্রী এবং মেয়ে।’
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে উত্তর ২৪ পরগনার সুদীপ মুখোপাধ্যায় নামে অন্য আরও এক পর্যটকের। স্থানীয় একটি হোটেলে খাওয়া দাওয়ার পর থেকেই অস্বস্তি শুরু হয় তাঁর। এরপরই সমুদ্রে স্নান করতে নামেন। তবে অস্বস্তি বাড়তে থাকায় বাড়ির লোকজনকে তা জানিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় দিঘা হাসপাতালে। কিন্তু বিপদ টলানো যায়নি। চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির।