কাঁথি: শান্তিকুঞ্জ। রাজ্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি। শুধু শুভেন্দুই নন, সঙ্গে আরও দুই সাংসদ থাকেন এই বাড়িতে। বাড়ির সামনের গেটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রহরা সর্বক্ষণ। আর সেই শান্তিকুঞ্জের পাশের এবার দেওয়াল লিখন তৃণমূলের। বড় বড় করে দেওয়ালে লেখা হয়েছে ধর্মতলা চলো। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক চাপান উতোর। শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে ‘ধর্মতলা চলো’ দেওয়াল লিখন করে প্রচার অভিযান শুরু করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেস। বাড়ির পিছনের দিকের গেট থেকে অধিকারী পরিবারের সদস্যরা কেউ বেরোলেই চোখে পড়বে ২১ জুলাইয়ের ‘ধর্মতলা চলো’ দেওয়াল লিখন।
রবিবার বেলায় নিজের হাতে তুলি নিয়ে ‘ধর্মতলা চলো’ দেওয়াল লিখন শুরু করেছেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা কাঁথি পুরসভার উপপুরপ্রধান সুপ্রকাশ গিরি। অধিকারী বাড়ি শান্তিকুঞ্জের পাশেই এই দেওয়াল লিখনকে ঘিরে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। দেওয়াল লিখন ঘিরে জেলা রাজনীতিতে শোরগোলও পড়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে৷ রাজ্যে বিরোধী দলনেতা বাড়ির সামনে দেওয়াল লিখন ঘিরে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্বরা।
২১ জুলাইয়ের সমাবেশে ভিড় টানতে মাঠে নেমে পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস। বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিকে বিশেষ নজর রাজ্য রাজনীতির কারবারিদের। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলা থেকে কত মানুষ নিয়ে ধর্মতলা পৌঁছাতে পারবেন জেলার তৃণমূল নেতারা, তা নিয়েই চলছে জল্পনা। আর সেটাকেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন জেলার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “পুরনো দিনের সমস্ত কিছু রেকর্ড ভেঙে, আগামী ২১ জুলাই নতুন রেকর্ড হবে। সারা বাংলায় তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকরা মুখিয়ে থাকেন কবে ২১ জুলাই আসবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনতে পারবেন।” তবে দেওয়াল লিখন ও তৃণমূল নেতার বক্তব্যের পাল্টা দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বও। কাঁথি সংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি সুদাম পণ্ডিত বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস একটি চিটিংবাজের দল। যার কারণে একে একে অপরাধীরা ধরা পড়ছে। কারণ এত জায়গা থাকার পরও রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে ধর্মতলা চলো লিখতে হচ্ছে। এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত, কাঁথি নয় পূর্ব মেদিনীপুর মানুষ সবই বোঝে। নির্বাচনেই যোগ্য জবাব দেবে।”
প্রসঙ্গত, ২১ জুলাই কলকাতার ধর্মতলাতে শহীদ স্মরণে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জনসভা আয়োজন করা হয়েছে। জনসভাতে বক্তৃতা রাখবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের মন্ত্রী থেকে তৃণমূল নেতৃত্বরা। প্রায় একমাস আগে থেকেই তৃণমূল নেতৃত্ব রাজ্যের একাধিক জেলায় তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। কোথাও কোথাও দেওয়াল লিখন করে, আবারও পাড়া বৈঠক করে জনসভার প্রস্তুতি শুরু করেছেন।