Mandarmani: পুরুষাঙ্গের মাপ অনুযায়ী বাড়ে ‘প্লে বয়দের’ দাম, বড়লোকের বউদের ‘খেলা’ চলছে মন্দারমনিতে!
Mandarmani: মূলত এই ধরনের মহিলারা মন্দারমনির বিলাশবহুল ফ্ল্যাটগুলোকেই বেছে নিচ্ছেন। যে সমস্ত হোটেলগুলির সঙ্গে প্রাইভেট বিচ। সেখানে পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে চাইছেন। হোটেল কর্তৃপক্ষের কথায়, আসলে এই ধরনের মহিলারা খুবই একাকীত্বে ভোগেন।
মন্দারমনি: মন্দারমনি-তাজপুর- নাম দুটোতেই যেন লুকিয়ে প্রচুর রঙিন ছবি। সে ছবি ‘নীল’ও হয় মাঝেমধ্যে। মাঝেমধ্যেই তা আবার সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসে। এই ধরুন খবর হল, হোটেলের ঘর থেকে পাঁচ যুবতী উদ্ধার কিংবা হোটেলের রুমে যৌন ব্যবসা। কিন্তু এ খবর সাধারণত হচ্ছে, মহিলারাই যৌন ব্যবসায় লিপ্ত হচ্ছেন। কিন্তু জানেন কি, তাজপুর-মন্দারমনিতে ঠিক তার উল্টো ব্যবসাটাও শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। সে এক নতুন ব্যবসা। বিষয়টা ব্যস্তানুপাতিক। অর্থাৎ একটি রুমে পাঁচ মহিলাকে সঙ্গ দিচ্ছেন এক জন পুরুষ। অথবা ওয়ান ইস্টু ওয়ান অনুপাতেও। অর্থাৎ কেবল পুরুষকে খুশি করতে মহিলা সঙ্গ নয়। মন্দারমনি তাজপুরে, মহিলা পর্যটকদের সঙ্গ দিতে ভাড়ায় রুমে ঢুকছেন পুরুষ সঙ্গীরাও।
‘প্লে বয়’! শুনেছেন নিশ্চয়ই। হ্যাঁ, ইদানীং মন্দারমনি-তাজপুরে চলছে প্লে বয়দের ব্যবসাও। তাঁদের কাস্টোমার শহরের অভিজাত উচ্চবিত্ত পরিবার, সরকারি উচ্চ পদস্থ আধিকারিক কিংবা নেভিতে কিংবা সেনায় কর্মরত আধিকারিকদের স্ত্রী। প্রশাসন ও হোটেল মালিকের একাংশই বলছেন, ইদানীং এই ধরনের উচ্চবিত্ত অভিজাত পরিবারের মহিলারা মন্দারমনিতে শর্ট ট্রিপে আসছেন। তাঁরা এখানে খুঁজছেন অল্পবয়সী, সুঠাম দেহের মিশুখে পুরুষ সঙ্গীকে। যাঁরা তাঁদের সঙ্গে বিচে হাঁটবেন, সন্ধ্যার স্ন্যাক্স খাবেন আর রাতে দেবেন পরম ‘সুখ’!
অনেকক্ষেত্রে আবার একসঙ্গে পাঁচ-ছ’জন মহিলাও আসছেন। তাঁদের কথায় ‘কিটি পার্টি’। সেই পার্টিরও মূল আকর্ষণ হয়ে উঠছেন এই ‘প্লে বয়’রাই। অনেকক্ষেত্রে কলকাতা থেকেই তাঁরা আসছেন। একই সঙ্গে রুম ভাড়া নিচ্ছেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে অনলাইনে বুকিংও হয়ে যাচ্ছে। কীভাবে সম্ভব? মূলত এই ধরনের কাস্টোমাররা হোটেলের টেকনিশিয়ান কিংবা কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁদের সঙ্গে কথা হয় হোয়াটসঅ্যাপ কলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোটেলের এক কর্মী বলেন, “আমাদের এক কর্মীর সঙ্গেই এই ধরনের কথাবার্তা হয়েছে। আমি তাঁর থেকেই জেনেছি। বুকিং করার আগে মহিলারা এখন সমস্ত বিষয় খুটিয়ে জেনে নিচ্ছেন। অনেকে আবার পুরুষাঙ্গের মাপও জেনে নেন। আবার কেউ কেউ তো জিজ্ঞাসা করেন, কতক্ষণ সুখ দিতে পারবেন তাঁরা। এই ধরনের কাস্টোমাররা অত্যন্ত ডিমান্ডিং হয়।”
মূলত এই ধরনের মহিলারা মন্দারমনির বিলাসবহুল ফ্ল্যাটগুলোকেই বেছে নিচ্ছেন। যে সমস্ত হোটেলগুলির সঙ্গে প্রাইভেট বিচ। সেখানে পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে চাইছেন। হোটেল কর্তৃপক্ষের কথায়, আসলে এই ধরনের মহিলারা খুবই একাকীত্বে ভোগেন। পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলারা সংখ্যা বেশ ভালই। তাঁদের হয়তো বেশিরভাগেরই স্বামী বাইরে থাকেন।
দিঘাতে অবশ্য এই ধরনের প্রবণতা কম। ‘মন্দারমনি’র ফ্ল্যাট বিচ আর তাজপুরের নিরিবিলি সৈকতকেই বেছে নিচ্ছেন উচ্চবিত্ত বাড়ির বউ কিংবা আধিকারিকদের স্ত্রী-রা। প্রশাসনের নাকের ডগাতেও মহিলা যৌন কর্মীদের সঙ্গেই সমানুপাতিক হারে বেড়ে চলেছে ‘প্লে বয়’দের সংখ্যা। সেক্ষেত্রে প্রশাসনের একটি সূত্র মারফত খবর, কলকাতার কল সেন্টারগুলিও ‘সাপ্লায়ারের’ কাজ করে।
এ প্রসঙ্গে মন্দারমনি হোটেল সংগঠন সভাপতি মীর মমরেজ আলির বক্তব্য, “এ বিষয়গুলো আমাদের নজরে এসেছে। কারণ ওখানে কেবল আমাদের ব্যবসা নয়, লোকালিটিও তো আছে। যদি কেউ করে থাকে, আমরা অ্যাসোসিয়েশন থেকে পদক্ষেপ করব।”
জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “দিঘা-মন্দারমনিতে মানুষের আকর্ষণ বেড়েছে। পুলিশ প্রশাসন বিষয়টিতে কড়া নজর রেখেছে।” কাঁথি জেলা বিজেপি নেতৃত্ব ও রাজ্য কমিটির সদস্য অসীম মিশ্র বলেন, “এটা সামাজিক অবক্ষয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তো মদ বিক্রিতে এখন শীর্ষে। পরিস্থিতির শিকার। সমাজের ওপর প্রভাব পড়ছে। কাউন্সিলিং করানোর প্রয়োজন রয়েছে।”
দিঘা শংকরপুর হোটেল সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, “এই ধরনের চক্রটা বছর দুয়েক ধরে বেশি হচ্ছে। লোকালি, গ্রামের ভিতর চলছে। এখন আমাদের এখানে যে দু’জন ওসি এসেছেন, তাঁরা মারাত্মক। রেইড চলছে। কোনওভাবেই এসব বরদাস্ত করা হবে না।”
কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন, এই ধরনের খবর আসছে। ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। দিঘা শংকরপুর হোটেল সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, “এই ধরনের চক্রটা বছর দুয়েক ধরে বেশি হচ্ছে। লোকালি, গ্রামের ভিতর চলছে। এখন আমাদের এখানে যে দু’জন ওসি এসেছেন, তাঁরা মারাত্মক। রেইড চলছে। কোনওভাবেই এসব বরদাস্ত করা হবে না।”
কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন, এই ধরনের খবর আসছে। ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।