কাঁথি: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। ইতিমধ্যেই কলকাতার নানা প্রান্ত থেকে উদ্ধার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। ইডি(ED) হেফাজতে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়(Partha Chatterjee), অর্পিতা মুখোপাধ্যায়(Arpita Mukherjee)। অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্য সরকারের। এদিকে এরইমধ্যে খানিক যেন অন্তরালে চলে গিয়েছে সারাদা কাণ্ড(Sarada Scam)। কিন্তু এবার সেই সারদা কেসেই নড়েচড়ে বসল রাজ্য পুলিশ। সারদার ফাইল উধাও নিয়ে জোরদার তদন্ত শুরু করেছে কাঁথি থানার পুলিশ। হেফাজতে নেওয়া হয়েছে অধিকারীর পরিবারের ঘনিষ্ঠ ইঞ্জিনিয়ার দিলীপ চুয়ানকে। যা নিয়েই ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক মহলে।
অভিযোগ উঠেছিল কাঁথি পুরসভা থেকে চুরি গিয়েছে সারদার নথি। সেই ঘটনারাই তদন্তে দিলীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছ বলে খবর। প্রসঙ্গত, পথবাতি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন কাঁথির অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ পুরসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার দিলীপ চুয়ান। তবে এবার সারদা নথি চুরির জন্যই তাঁকে হেফাজতে নিতে চায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার কাঁথি থানার পুলিশ দিলীপকে হেফাজতে চেয়ে আপিল করে আদালতে। তারপরই দিলীপের চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন একাধিকবার দাবি করেছেন তিনি টাকা দিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। যদিও তিনি সেসময় তৃণমূলেই ছিলেন। এমনকী কাঁথিতে ‘সারদা কনক্লেভ’ করার জন্য ওনার ভাই প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে টাকা দিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন সুদীপ্ত। এদিকে এই তথ্য সামনে আসার পরেই সারদা সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে আরটিআই করেন কাঁথির আইজীবী মঞ্জুর রহমান খাঁন। তখনই শোনা যায় সারদা সংক্রান্ত ফাইলটাই নাকি গায়েব হয়ে গিয়েছে। তারপর থেকেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। দিলীপকে হেফাজতে নেওয়া প্রসঙ্গে কাঁথির পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন “তদন্তের জন্যই অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ারকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। দিলীপকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালানো হবে।”