পূর্ব মেদিনীপুর: তৃণমূল নেতা তথা নন্দীগ্রাম ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আবু তাহেরকে গ্রেফতারির নির্দেশ হলদিয়া আদালতের। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সেই মোতাবেক বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা নাগাদ সিবিআই কর্তা, মহিলা পুলিশ, সিআরপিএফ ও রাজ্যপুলিশের আধিকারিকরা এই অভিযান চালায়। যদিও, তৃণমূল নেতাকে বাড়িতে খুঁজে পাননি প্রশাসনিক কর্তারা।
সূত্রের খবর, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় আবু তাহেরের। এরপর বারংবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলেও অভিযোগ, হাজিরা দিচ্ছিলেন না তৃণমূল এই নেতা। গত ২৫ তারিখও তাঁকে সশীররে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে আবু তাহের শুধুমাত্র ইমেল মারফত উত্তর দিয়েছিলেন।
এই সবের মধ্যেই তৃণমূল এই নেতা আগাম জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। তবে আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে সিবিআই-এর সঙ্গে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেয়। তারপর সিবিআই নোটিস করা সত্বেও আবু তাহের হাজির হননি। মেল করে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর তৃণমূল নেতার আইনজীবী মারফৎ সিবিআই আধিকারিকদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয় যে কোন প্রসঙ্গে এই জিজ্ঞাসাবাদ।
এরই ভিত্তিতে সিবিআই গত ২৫ তারিখ হলদিয়া আদালতে আবেদনে করে আবু তাহের সহযোগিতা করছেন না কোনও ভাবেই। ফলে হেফাজতে নিয়ে যাতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে হলদিয়া আদালত গ্রেফতারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরই এ দিন সিবিআই আধিকারিক, মহিলা পুলিশ, সিআরপিএফ ও রাজ্যপুলিশের আধিকারিকরা এই অভিযান চালায়। ঘটনার বিষয়ে সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘নন্দীগ্রামে সিবিআই মামলা রয়েছে। আজকে তারই তারিখ ছিল। ১৪ জনকে কোর্টে তোলার কথা হয়েছিল। তবে হাজিরা না দেওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।’