পূর্ব মেদিনীপুর : কাঁথি। রাজ্য রাজনীতিতে এই এলাকার নাম বার বার ঘুরে ফিরে আসে। কিছুদিন আগে এই এলাকার একটি ক্লাবে খুঁটি পুজো হয়েছিল। আর এবার সেই খুঁটি উধাও। উধাও হয়ে গিয়েছে ব্যানারও। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। অভিযোগের আঙুল উঠছে শাসক দলের দিকেই। রথের দিন ঘটা করে ক্লাবের মণ্ডপের খুঁটি পুজো হয়েছিল। ওই ক্লাবের সম্পাদক পদে রয়েছেন সৌমেন্দু অধিকারী। রথের দিন মণ্ডপের খুঁটি পুজোর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শান্তিকুঞ্জের আরও এক সদস্য দিব্যেন্দু অধিকারীও। এ হেন হেভিওয়েটে ভরপুর পুজোর মণ্ডপের খুঁটি কীভাবে উধাও হয়ে গেল? ঘটনাটি ঘটেছে গতরাতে। মঙ্গলঘট থেকে শুরু করে মণ্ডপের খুঁটি, ব্যানার… সব উধাও হয়ে গিয়েছে। ঘটনার পর ক্লাবে গিয়েছিলেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও। সরেজমিনে ঘুরে দেখেছেন পরিস্থিতি।
সাংসদের বক্তব্য, “গত কয়েকদিন ধরে এলাকা উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে। যারা এর পিছনে রয়েছে তারা পুজোকে নিয়ে রাজনীতি করতে চায়। তারা কী ধরণের রাজনীতি করেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কাঁথির পুলিশের প্রতি ভরসা নেই। তাই ভারত সরকারকে আবেদন করব জমি রক্ষা করার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার। পুজোর সঙ্গে রাজনীতি যদি কেউ যোগ করে, তা হলে নোংরা মানসিকতার পরিচয় দেবে।”
যদিও বিষয়টি নিয়ে জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “আমরা পুজো নিয়ে রাজনীতি করি না। ওটা আমাদের সংস্কৃতি নয়। বিরোধী দলনেতা হোক বা ওনার ভাই… যেই এই পুজোর উদ্যোক্তা হোক, তাতে কিছু আসে যায় না। ওরা এর আগে নিজেদের লোক দিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়ে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছিল। পরে প্রমান হয়েছে, কে করিয়েছিল। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে কাঁথির পুলিশকে বলব, শুধু ওই পুজো নয়, সব কটি বড় পুজোর দিকে যেন সমান নজর থাকে।”