Sujan Chakraborty: ‘মুখ্যমন্ত্রীর সাহস নেই পার্থবাবুদের বিরুদ্ধে বলার,বিজেপিই তৃণমূলকে ছেড়ে রাখতে চায়’: সুজন

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 27, 2022 | 12:42 PM

Purba Medinipur: সুজন বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর অপরাধের কথা পার্থবাবুরা জানেন। একইভাবে পার্থবাবুদের অপরাধের কথা মুখ্যমন্ত্রীও জানেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সাহস নেই পার্থবাবুদের বিরুদ্ধে বলার। পাছে তাঁর বিরুদ্ধে বলে বসে।'

Sujan Chakraborty: মুখ্যমন্ত্রীর সাহস নেই পার্থবাবুদের বিরুদ্ধে বলার,বিজেপিই তৃণমূলকে ছেড়ে রাখতে চায়: সুজন
সুজন চক্রবর্তী (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

পূর্ব মেদিনীপুর: রাজ্যের শাসকদলকে আরও একবার এক হাত নিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। শুধু তাই নয়, বিরোধী দল বিজেপি-কে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তিনি। মঙ্গলবার মেদিনীপুরে এসে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সাহস নেই পার্থবাবুদের বিরুদ্ধে বলার।বিজেপিই তৃণমূলকে ছেড়ে রাখতে চায়। তৃণমূলই প্রকারন্তরে বিজেপিকে সাহায্য করে।’

এ দিন তিনি বলেন, ‘বাংলায় বাম সরকার বিদায়ের সঙ্গে-সঙ্গে যুবকদের চাকরি বিদায়। পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে বরবাদ করে দেওয়া হল। পৌরসভার লুটেরাদের রাজ। মুখ্যমন্ত্রীর বদান্যতায় লুঠেরারাই মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। লুঠের রাজত্ব চালাতেই বাবাবাছা করে তাঁদের রেখে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ এরপর এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেফতারির পরও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভায় রাখার প্রসঙ্গে মঙ্গলবার এ মন্তব্য করেছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।

এ দিন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুজন। বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানান তিনি। বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর অপরাধের কথা পার্থবাবুরা জানেন। একইভাবে পার্থবাবুদের অপরাধের কথা মুখ্যমন্ত্রীও জানেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সাহস নেই পার্থবাবুদের বিরুদ্ধে বলার। পাছে তাঁর বিরুদ্ধে বলে বসে।’

বিজেপি রাজনৈতিক স্বর্থে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করছে জানালেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই-র পদক্ষেপ সঠিক বলে দাবি করেন সুজন। বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার এজেন্সিগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছে। রাজ্যের সরকারও একই ভাবে তাদের এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করছে। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু তার মানে এই নয়, তৃণমূলের ক্ষেত্রে যা হচ্ছে তার সবটাই রাজনৈতিক স্বর্থে হচ্ছে। হাতেহাতে টাকা মিলছে। তৃণমূল এতোই অপরাধী, এতোই দূষিত, এতোই লুঠের পার্টি যে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে। কিন্তু রাজনৈতিক স্বার্থে ইডি, সিবিআই ব্যবহৃত হচ্ছে বলেই এখনও পর্যন্ত পিসি-ভাইপোরা জেলে যায়নি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে খুঁজতে এতবছর লেগে গেল। চিটফান্ডের অপরাধীরা এখনও পর্যন্ত জেলে যায়নি। নারদ-কাণ্ডে যাদের হাতে হাতে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল তারা ছাড়া রয়েছে।’ কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘বিজেপিই তৃণমূলকে ছেড়ে রাখতে চায়। কারণ, তৃণমূলই প্রকারন্তরে বিজেপিকে সাহায্য করে।’

Next Article