পূর্ব মেদিনীপুর: ফ্ল্যাট থেকে বিপুল অর্থ উদ্ধারের পর ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও। অর্পিতার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ উদ্ধার হওয়া এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এখন ইডির স্ক্যানারে। এসবের মধ্যে এবার এ প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। জানালেন ভয়ে আছেন তিনিও। বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, “আমি খুব ভয়ে আছি, আমার কিছু বান্ধবী আছে। এদিক সেদিক ছড়িয়ে। এখানেও বোধহয় আছে। কবে তাদের বাড়িতে রেইড হয়ে টাকা না বেরিয়ে যায়।”
রবিবার মেচেদায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখ খোলেন চিরঞ্জিৎ। তাঁর বক্তব্য, এই ধরনের ঘটনা নিয়ে এভাবে মন্তব্য করা সম্ভব নয়। আসল ঘটনা, কার্যকারণ, সবটা স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত বলা যায় না। চিরঞ্জিতের কথায়, “এগুলো সব আলাদা আলাদা ঘটনা। প্রমাণিত না হলে কিছু করাও যায় না। কিছু বলাও যায় না। আমাদের দল তাঁকে এখনও মহাসচিব রেখেছে, মন্ত্রী রেখেছে।”
বরং এই ঘটনার পিছনে কোনও ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিরঞ্জিত। তাঁর দাবি, “বিজেপি এরকম অনেক কিছুই করতে পারে। হয়ত কিছু আছে। সেটাকে বড় করে প্রজেক্ট করা, ধরা, সেটা নিয়ে প্রচার করা হতে পারে। আসলে ভোটটা তো সামনে। কিছু দিয়ে যদি দলটাকে বিড়ম্বনায় ফেলা যায়।”
দল বিড়ম্বনায় কি না তা দলই বলবে। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে বিড়ম্বনায় এবং তা যে এখনই কাটছে না তা বোঝা যাচ্ছে। কারণ শনিবার জোকা ইএসআই বলেছিল তিনি একেবারে ফিট। কিন্তু ব্যাঙ্কশাল আদালত তাঁকে অসুস্থ বলে এসএসকেএমে পাঠায়। এরপরই পাল্টা ইডি যায় কলকাতা হাইকোর্টে। প্রশ্ন তোলে, কেন এসএসকেএম। সেনা হাসপাতাল বা কল্যাণীর এইমস নয় কেন? আদালত নির্দেশ দেয়, পার্থবাবুর শারীরিক পরীক্ষা হবে ভুবনেশ্বর এইমসে। সেইমতো সোমবার সকালে পড়শি রাজ্যে তাঁকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বিমানে। বিকেলেই এইমস জানিয়ে দেয়, পার্থের কিছু সমস্যা আছে ঠিকই। তবে এমার্জেন্সির কিছু নেই। সোমবারই আদালত জানিয়ে দেবে, এরপর কী হবে পার্থের। কোথায় থাকবেন তিনি? হাসপাতাল নাকি ইডি হেফাজতে?