AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Purba Medinipur: ছেলের মৃতদেহ বাড়িতে আসতেই তিনতলা থেকে ঝাঁপ মায়ের, হাসপাতালে নিয়ে গেলেও হল না শেষ রক্ষা

Kolaghat: পরিবার সূত্রে খবর, শুভাদ্রির মৃতদেহ দেখার কিছুক্ষন পরেই চোখ জল নিয়েই সবার অলক্ষ্যে সোজা তিনতলা বাড়ির ছাদে উঠে যান। সেখান থেকেই নিচে ঝাঁপ দেন। গুরুতর আহত অবস্থায় মানসী বৈদ্যকে উদ্ধার করে মেচেদার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা।

Purba Medinipur: ছেলের মৃতদেহ বাড়িতে আসতেই তিনতলা থেকে ঝাঁপ মায়ের, হাসপাতালে নিয়ে গেলেও হল না শেষ রক্ষা
আরও বাড়ল শোক Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 09, 2025 | 3:00 PM
Share

কোলাঘাট: আচমকা অসুস্থ ছেলে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে দেন। কিন্তু ছেলের মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারলেন মা। শেষ পর্যন্ত তিনতলা থেকে ঝাঁপ মারতে দেখা গেল মহিলাকে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে। কিন্তু আর বাঁচানো যায়নি। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট বিট হাউস থানার অন্তরগত রাইন গ্রামে। এখানেই বাড়ি একুশ বছরের শুভাদ্রি বৈদ্যর। 

পরিবার সূত্রে খবর, ৮ নভেম্বর দুপুরে নিজের বাড়িতেই পড়ে গিয়েছিল শুভাদ্রি। তারপরই সেরিব্রাল অ্যাটাক। তৎক্ষণাৎ বাড়ির লোকজন শুভাদ্রিকে কোলাঘাটের পাইকপাড়ি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে দেন। কোলাঘাট থানার পুলিশ শুভাদ্রির মৃতদেহ তমলুকের তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায় ময়নাতদন্তের জন্য। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ রাইন গ্রামে বাড়িতে আসে শুভাদ্রির দেহ। ছেলেকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা মানসী বৈদ্য। কিন্তু তখনও কেউই আঁচ করতে পারেনি শোকের আবহে ঘটতে চলছে আরও বড় ঘটনা।

পরিবার সূত্রে খবর, শুভাদ্রির মৃতদেহ দেখার কিছুক্ষন পরেই চোখ জল নিয়েই সবার অলক্ষ্যে সোজা তিনতলা বাড়ির ছাদে উঠে যান। সেখান থেকেই নিচে ঝাঁপ দেন। গুরুতর আহত অবস্থায় মানসী বৈদ্যকে উদ্ধার করে মেচেদার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। অত উঁচু থেকে আর নিচে পড়ার ধকল নিতে পারেনি তাঁর দেহ। চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে দেন। তাতেই শোকের আবহ আরও দ্বিগুণ হয়ে যায় ওই এলাকায়। পরিবারে কান্নার রোল। একযোগে স্ত্রী সন্তানকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন রমেশ বৈদ্য। তিনি জেলারই DEB (ডিস্ট্রিক এনফর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ)-তে কর্মরত। এদিনই মানসী বৈদ্যর ময়নাতদন্ত করা হবে তমলুকের তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজে।