ময়না: বিজেপির বুথ সভাপতি খুনে উত্তপ্ত ময়না। শুক্রবার নিহত বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার দেহ সৎকার। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবারই কম্যান্ড হাসপাতালে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত হয় দেহের। রাতেই দেহ ফিরিয়ে আনা হয় গ্রামে। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে পারদ চড়ছে গ্রামে। পুলিশি তদন্তে অখুশি পরিবার। সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় পরিবার। সকাল থেকেই নিহত বিজেপি নেতার বাড়িতে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব জমায়েত করেছেন। যাবেন ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দা, সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি আশিস বর্মন। একটি শোকমিছিল করে শ্মশানযাত্রা করে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে।
সকাল থেকে গ্রামবাসীরা জড়ো হয়েছেন নিহত বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সকলেই।বছর আটেকের এক শিশুর চোখেও জল। এত্ত রাজনৈতিক সমীকরণ হয়তো সে এত বোঝে না, তার বোঝার বয়সও নয়, তবে গ্রামের দিদিমা-কাকিমারা যেভাবে কাঁদছেন, তাতে চোখের জল বাধ মানছে না তারও।
চোখে জল নেই কেবল নিহত বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার দুই ছেলের। ক্লান্ত, বিনিদ্র চোখে এখনও প্রতিবাদের স্পৃহা। চোয়ার শক্ত করে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন নিহতের মেয়ে। বারবার প্রশ্ন তুলছেন, “এত কিছুর পরও পুলিশ এখনও ওদের ধরেনি। এখনও ওদের মারেনি।”
এই ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন, পুলিশ দেহ নদী পেরিয়ে ঘুরপথে নিয়ে চলে গিয়েছিল। দেহ উদ্ধারের পর তা পরিবারকে জানায়নি। তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ জাতীয় এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার। তিনি বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, ‘পুলিশের নেতৃত্বেই এই খুন’। তিনি এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। প্রতিবাদের আগুন এখনও জ্বলছে ময়নায়।