ময়না: কেউ লুকিয়ে ছিলেন মেয়ের বাড়ি, কেউ আবার লুকিয়েছিলেন ইট ভাটায়। সেখান থেকেই তাঁদের খুঁজে বের করেছে ময়না থানার পুলিশ। বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইঞাকে অপরহরণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতারির তালিকায় যুক্ত হলেন আরও এক ব্যক্তি। এই নিয়ে মোট চারজন গ্রেফতার হয়েছে। ধৃতের নাম সুব্রত মণ্ডল। এলাকাবাসী ধৃতকে তৃণমূল কর্মী বললেও তা মানতে নারাজ শাসকদলের জেলা নেতৃত্ব।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের বাড়ি গোড়ামহল এলাকায়। অভিযুক্তকে তাঁর বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ দিকে, গতকাল তল্লাশি চালিয়ে এই এলাকা থেকেই অন্য দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। লাগাতার তল্লাশি চালাতেই গ্রেফতার হন সুব্রত। ধৃত তিনজনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাঁদের তমলুক কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেল নাগাদ ৫টা নাগাদ বাকচায় বিজয়কৃষ্ণকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ করেন বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা। অভিযোগের আঙুল ওঠে শাসকদল তৃণমূলের দিকে। ঘটনার দিনই এলাকাস্থলে পৌঁছন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “এর শেষ দেখে ছাড়ব।” এমনকী ঘটনার প্রতিবাদে বনধ ও পথ অবরোধেরও ডাক দেন তিনি।
তদন্তে নেমে একের পর এক অভিযুক্ত গ্রেফতার হন। প্রথমে গ্রেফতার হন মিলন ভৌমিক। তিনি গোড়ামহল এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রাক্তন বুথ সভাপতি। খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার দাবি তুলে মোট ৩৪ জনের নামে ময়না থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার। অভিযোগ পত্রে ২৬ নম্বরে নাম ছিল ধৃতের। জানা গিয়েছে, বুধবার রাত্রিবেলা মেয়ের বাড়ি বলাপণ্ডা থেকে পুলিশ পাকড়াও করে তাঁকে। মেয়ের বাড়িতেই লুকিয়ে ছিলেন মিলন। জিজ্ঞাসাবাদের বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। এরপর শনিবার গোড়ামহল এলাকা থেকে গ্রেফতার হন সুজয় মণ্ডল ও মিলন ভৌমিক নামে আরও দুই অভিযুক্ত।