পূর্ব মেদিনীপুর: নন্দীগ্রাম দিবসে আলাদা কর্মসূচি তৃণমূল ও বিজেপির। গোকুলনগরে শহিদ দিবস পালন করলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আলাদাভাবে নন্দীগ্রামে শহিদ স্মরণ করল তৃণমূলও। মঞ্চ থেকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজের কর্মসূচির ডাক দিয়ে রাখলেন শুভেন্দু।
মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আপনারা যাঁকে হারিয়ে, যাঁকে জিতিয়েছিলেন, সেই শুভেন্দু অধিকারীর আগামী ২ মে বিধায়ক হিসাবে চার বছর পূর্ণ হচ্ছে। আমার বিধায়কের টাকা কোথায় খরচ হয়েছে, উন্নয়ন কোথায় করতে পেরেছি, তার হিসাব দেব আমি। আমি বই ছাপিয়েছি। আমি হিসাব দেব আপনাদের কাছে। আমি হিসাব দেওয়ার কর্মসূচি নন্দীগ্রামে করব, আপনারা আমন্ত্রণ পাবেন। ”
এদিকে, উৎসবের মধ্যেও নন্দীগ্রাম দিবসে শহিদদের স্মরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে মমতা লিখলেন, “কৃষক দিবসে নন্দীগ্রামে কৃষিজমি রক্ষা আন্দোলনের শহিদদের স্মৃতির প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। আমাদের মা-মাটি-মানুষের সরকার এভাবেই আমাদের কৃষকবন্ধুদের পাশে থাকবে।” তাঁর আমলে গত ১৪ বছরে বাংলায় কৃষকরা কতটা সুরক্ষিত, সেটাও তুলে ধরেছেন তিনি।
২০০৭ সালের এই ১৪ই মার্চ গুলি করে ভূমি আন্দোলন কারিদের হত্যা করার অভিযোগ উঠেছিল তৎকালীন প্রশাসন সহ সিপিআইএমের বিরুদ্ধে। কেটেছে দেড় দশকের বেশি সময় তাও নন্দীগ্রাম শহীদ তর্পণ বন্ধ হয়নি। শুভেন্দু অধিকারী একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে তিনি আলাদা ভাবে নন্দীগ্রাম দিবস পালন করে আসেন। এদিন নন্দীগ্রামের গোকুল নগরে অধিকারী পাড়ায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ,মেঘনাথ পাল,অশোক করণ, অভিজিৎ মাইতি সহ নেতৃত্ব উপস্থিত হয়ে শহিদ বেদিতে মালা দেন ও শহিদ স্মরণ করেন। পরে সোনাচুড়া শহিদ মিনারে এসে ও শ্রদ্ধা জানান মিনারের শহিদ বেদিতে বিধায়ক।