TMC: নতুন ব্লক কমিটি তৈরি হতেই নন্দীগ্রামে ক্ষোভের আগুন তৃণমূলে, গণইস্তফার হুঁশিয়ারি কর্মীদের

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Sep 06, 2022 | 10:47 PM

TMC: আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে নয়া সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনা না করলে এলাকার তৃণমূল কর্মীরা গণইস্তফা দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। যা নিয়েও বাড়ছে চাপানউতর।

TMC: নতুন ব্লক কমিটি তৈরি হতেই নন্দীগ্রামে ক্ষোভের আগুন তৃণমূলে, গণইস্তফার হুঁশিয়ারি কর্মীদের

Follow Us

তমলুক: নতুন ব্লক সভাপতির নাম ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের (Trinamool Congress) গোষ্ঠী কোন্দল। যা নিয়ে ব্যাপক চাপানউতর চলছে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Mednipur) রাজনৈতিক মহলে। সোমবারই নতুন করে ঘোষণা করা হয় তমলুক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন ব্লক কমিটি। নন্দীগ্রাম ১ ব্লকে স্বদেশ দাসের পরিবর্তে বাপ্যাদিত্য গর্গকে ও নন্দীগ্রাম ২ ব্লকে মহাদেব বাগকে সরিয়ে সভাপতি করা হয়েছে শিবশঙ্কর বেরাকে। সূত্রের খবর, এই ২ জনকে ব্লক সভাপতি মানতে নারাজ এলাকার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশ।নতুন কমিটি নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁরা। 

এমনকী আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে নয়া সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনা না করলে এলাকার তৃণমূল কর্মীরা গণইস্তফা দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। যার জেরে অস্বস্তি বেড়েছে শাসক দলের। নন্দীগ্রাম ২ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা পরিতোষ জানা বলেন, “আজ আমাদের কাছে কালা দিন। যেভাবে আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে গতকাল নতুন ২ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে তা আমরা মানছি না। তাঁদেরকে আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। এরা বিজেপির হয়ে কাজ করত, দলের কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য ১ সপ্তাহ সময় দিচ্ছি। প্রয়োজন হলে দলের সব পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্দল হিসেবে চালাব পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি।’

এদিকে ইতিমধ্যেই আবার ব্লক সভাপতি নির্বাচন নিয়ে দলের বিক্ষুব্ধ নেতা, কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন শেখ সুফিয়ান। মঙ্গলবার সুফিয়ান তাঁর বাড়িতে অনুগামীদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। তিনি আবার একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা ব্যানার্জির চিফ ইলেকশন এজেন্ট ছিলেন। তিনি বলেন, “কর্মীদের ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক। কোনও আলোচনা ছাড়াই কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা নন্দীগ্রামে আন্দোলনকারী প্রথম থেকে রয়েছি। রাজ্য কমিটি যা সিদ্ধান্ত নেবে নেবে, যাঁদের করা হয়েছে তারা বিধানসভা নির্বাচনের সময় প্রাচীরের বাইরে ছিল।শুভেন্দুর হয়ে কাজ করেছেন। পঞ্চায়েত ভোটার আগে এভাবে শুভেন্দু অধিকারী তথা বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুঁসছেন তৃণমূল কর্মীরা।”

Next Article