পূর্ব মেদিনীপুর: মেয়াদ শেষ হলদিয়া পুরসভার (Haldia Municipality) বোর্ডের। মেয়াদ শেষে প্রশাসক নিয়োগ করা হল হলদিয়া পুরসভায়। প্রশাসক বোর্ড গঠন করা হল পাঁশকুড়া পুরসভার (Pashkura Municipality) জন্যও। পৃথক দুই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সোমবার বোর্ডের মেয়াদের শেষদিনে এই নির্দেশ সংশ্লিষ্ট দুই পুরসভাকে পাঠিয়েছে রাজ্য পুরদফতর। বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুরসভা নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক ও প্রশাসক বোর্ড পরিচালনা করবে হলদিয়া ও পাঁশকুড়া পুরসভা।
হলদিয়ার মহকুমাশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায়কে হলদিয়ার পুরপ্রশাসক হিসাবে নিযুক্ত করেছে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে পাঁশকুড়া পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন ও ভাইস চেয়ারপার্সন পদে রয়েছেন বিদায়ী চেয়ারম্যান নন্দকুমার মিশ্র ও বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান সইদুল ইসলাম খান। সেইসঙ্গে বোর্ড সদস্য হিসাবে মনোনীত হয়েছেন হরেন্দ্রনাথ মাইতি ও মৌমিতা সেন।
যদিও শিল্পতালুক হলদিয়া নিয়ে সিপিআইএম নেতা পরিতোষ পট্টানায়ক বলেন, “রাজ্যে এত চুরি, বেকারত্ব, কাটমানির মতো নজিরবিহীন সব ঘটনা। তাই তৃণমূল ভয় পেয়েছে। সঠিক সময় নির্বাচন না করে প্রশাসক বসিয়ে দিল। এটা হলদিয়ার মানুষের কাছে লজ্জার দিন।”
অন্যদিকে ভারতীয় মজদুর সংঘের নেতা প্রদীপ বিজলি বলেন, “পাঁচ বছর আগে বিপুলভাবে জয় পেয়েছে। পাঁচ বছর কাজ করল। তা সত্ত্বেও নির্বাচনের সময় প্রশাসক বসাতে হল? কেন এত ভয় আপনাদের? হারের ভয় পাচ্ছেন?” হলদিয়ার সাধারণ মানুষের বক্তব্য, পুর কাউন্সিলর থাকলে কাজ তাড়াতাড়ি হয়, প্রয়োজনে ছুটে যাওয়া যায়। হাতের কাছে সুবিধা অসুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হয় না। কিন্তু প্রশাসকের কাছ থেকে কি সেই সুবিধা পাওয়া যাবে?
এ বিষয়ে হলদিয়ার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল (অর্থ দফতর) বিকাশ জানা বলেন, “প্রশাসক বসানো নিয়ে জেলাস্তরে বা দলের অন্দরে তেমন কোনও আলোচনা হয়নি।” এমন সিদ্ধান্তে কিছুটা অখুশিই তিনি। তাঁর সংযোজন, “আমরা চাই এ বছরই যেন পুরভোট হয়। সেটা হলেই ভাল।”