দিঘা: দুর্গাপুজো গিয়েছে, সামনেই আবার কালীপুজো, ভাইফোঁটা, জগদ্ধাত্রী পুজো। সব মিলিয়ে উৎসবে মাতায়োরা আপামর বাঙালি। এদিকে উৎসবের আবহে মন্দা কাটিয়ে ভালই ভিড় হচ্ছে দিঘা-মন্দারমনিতে। লম্বা ছুটিতে অনেকেই পাড়ি দিচ্ছেন সৈকত নগরীতে। এদিকে দিঙায় বেড়়াতে গেলে ঢেউয়ে গা ভাসাতে অনেকেই চড়ে বসেন স্পিড বোটে। এবার সেই বোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হচ্ছে অনিশ্চিয়তার মেঘ। তবে কী শীঘ্রই দিঘায় আর ঘুরে বেড়ানো যাবে না স্পিড বোটে চড়ে?
সূত্রের খবর, গত মাসের শেষে সৈকতে স্পিড বোটের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন এক পর্যটক। তার হাত-পা-পেট ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। তাঁর আর্ত চিৎকার শুনে সৈকতে থাকা অন্যান্য পর্যটক তাঁকে উদ্ধার করে। আসে পুলিশও। এ ঘটনার পর থেকেই সৈকতে বোট পরিষেবা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। সূত্রের খবর, বর্তমানে ৫ থেকে ৭টি সংস্থা দিঘায় স্পিড বোটের পরিষেবা দেয়। সরকারি অনুমতি নিয়েই সমস্ত বিধি-নিষেধ মেনে তাঁরা এই পরিষেবা দিয়ে থাকেন। কিন্তু, এই দুর্ঘটনার পর থেকে গোটা পরিষেবা নিয়ে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা।
এই বিষয়ে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক মানস কুমার মণ্ডল জানাচ্ছে, একটা দুর্ঘটনার খবর এসেছে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। উৎসবের মরসুম চলছে। তারমধ্যে আর যাতে এ ঘটনা না ঘটে তার জন্য আমরা সকলকে সতর্ক করছি। পর্যটকদের সমুদ্র স্নানের জায়গা থেকে যাতে বোটগুলিকে দূরে রাখা হয় তার ব্যবস্থা করা হবে। অন্যদিকে গোটা ঘটনাকে যে পুলিশ যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখছে তা জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য। ঘটনায় কার দোষ ছিল, কীভাবে ঘটল সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর।