কাঁথি: বিকট শব্দে কেঁপে উঠল গোটা এলাকা। বিস্ফোরণে উড়ে গেল তৃণমূল নেতার (Trinamool Congress) বাড়ির একংশ। সূত্রের খবর, দুপুর ১১টা নাগাদ বিস্ফোরণের (Blast in Purba Medinipur) ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের দারিয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালচক-রামচক গ্রামে। তবে ঠিক কী কারণে বিস্ফোরণ তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। বাজি বিস্ফোরণ, গ্যাস সিলিণ্ডার বাস্ট নাকি বোমা বিস্ফোরণ? তা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা। যদিও বোমা বাঁধতে গিয়েই এই বিস্ফোরণ বলে দাবি স্থানীয় বিজেপি(BJP) নেতৃত্বের। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জুনপুট থানার পুলিশ। কী কারণে স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুকুমার বারিকের বাড়িতে বিস্ফোরণ তার জোরদকমে তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে।
বারিক পরিবারের সদস্যদের দাবি বিদ্যুতের শর্ট-সার্কিট থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। এদিকে বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে তাতে বাড়ির একাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানা যাচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, জুনপুট থানা থেকে ঢিল ছোড়া দরত্বে এ ঘটনা ঘটলেও পুলিশ আসে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক বাদে। যা নিয়েও এলাকাবাসীদের মধ্যে চাপানউতর শুরু হয়। এ ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গিয়েছে পদ্ম নেতাদের। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা অসীম মিশ্র বলেন, “তৃণমূলের লোকজনই বোমা বাঁধার কাজ করছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এলাকায় সন্ত্রাস তৈরির জন্য বোমা মজুত হচ্ছিল। বোম বাঁধতে গিয়েই বিস্ফোরণ হয়েছে। প্রমাণ লোপাট করার জন্যই দীর্ঘক্ষণ কাউকে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মিডিয়াকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ফিনাইল দিয়ে বাড়ি পরিষ্কার করা হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছেছে। বাড়ির মালিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা এ ঘটনার তদন্ত চাই।”
ডিএসপি শাকিব আহমেদ বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শর্ট সার্কিট থেকে এমন ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” বাড়ির মালিকের ভাই বিমল বারিক বলেন, ” আমি গাছে সুপারি তুলছিলাম। তখনই আমার ভাইয়ের স্ত্রী চিৎকার শুরু করে। বলে বাড়িতে আগুন লেগেছে। ছুটে এসে দেখি ফ্যানে আগুন জ্বলছে। গোটা ঘর ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। তখন জল নিয়ে আমরা নেভানোর চেষ্টা করি। বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে এমন ঘটনা ঘটেছে। আমি একজন রাজনৈতিক দলের সমর্থক। তাই এখন বিভিন্ন লোক বিভিন্ন কথা রটাচ্ছে।”